বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দীক্ষা আসেন এক ব্যক্তি। সকলের কাছে তিনি গুরুদেব নামেই পরিচিত। বীরভূমের দুবরাজপুরের বাসিন্দা সেই গুরুদেবের বিরুদ্ধেই এবার উঠেছে এক গুরুতর অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, দীক্ষা দেওয়ার নাম করে এক মহিলার বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর উপস্থিতিতেই তাকে ধর্ষণ (Rape) করেছে ওই ব্যক্তি।
দীক্ষা দেওয়ার নামে ধর্ষণের (Rape) অভিযোগে গ্রেপ্তার গুরুদেব
এমনকি দীক্ষা দেওয়ার নাম করে নিজের এই জঘন্য অপরাধের কথা নিজের মুখে স্বীকারও করে নিয়েছেন ওই অভিযুক্ত গুরুদেব। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের যশপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানকারই একটি গ্রামে দীক্ষা নেওয়ার জন্য বাড়িতে ডেকে আনা হয়েছিল এক গুরুদেবকে। কিন্তু দীক্ষা দেওয়ার নামে ওই মহিলার চরম সর্বনাশ করে আসে গুরুদেব।
অভিযোগ তার স্বামীর অনুপস্থিতিতেই সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ (Rape) করেছে ওই ব্যক্তি। অভিযোগ পাওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত গুরুদেবকে। ওই গুরুদেব নিজের মুখেই ধর্ষণ (Rape) করার কথা স্বীকার করে নিয়েছে। তবে তিনি দাবি করেছেন ওই মহিলার সম্মতি নিয়েই নাকি তিনি এই কাজ করেছেন।
আরও পড়ুন: দেদারে সরকারি বিদ্যুৎ চুরি! জ্বলছে লাইট-ফ্যান, অভিযোগ উঠতেই TMC বিধায়কের শাশুড়ি বললেন…
জানা গিয়েছে গুরুদেব যখন দীক্ষা দেওয়ার জন্য ওই মহিলার বাড়িতে গিয়েছিলেন তখন প্রথমেই গুরুদেবের কাছ থেকে দীক্ষা নিয়ে চলে গিয়েছিলেন তার স্বামী। তারপর ফাঁকা ঘরে একাই ছিলেন ওই মহিলা। তখনই সুযোগ বুঝে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন করে ‘গুণধর’ গুরুদেব। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এদিন পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় তার কাছে যখন টাকা চেয়ে যখন প্রশ্ন করা হয় আপনি ধর্ষণ করেছেন?
তখন উত্তরে অভিযুক্ত অকপটে বলেন, ‘হ্যাঁ করেছি!’ একইসাথে তিনি বলেন, ‘তবে জোর করে কিছু হয়নি। সম্মতি নিয়েই করেছি।’ পুলিশ সূত্রে খবর শুক্রবার একটি ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ জমা পড়েছিল। অভিযোগ মিলতেই ঘন্টা খানেকের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় ওই ব্যক্তিকে। শনিবার তাকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়েছিল।