বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তৃণমূল কংগ্রেসের ‘পুরনো সৈনিক’দের মধ্যে একজন তিনি। বহু বছর ধরে দলের অংশ। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের মাঝে সেই কুণাল ঘোষকেই (Kunal Ghosh) রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। এই নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন তরজা। যাতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন তাপস রায় (Tapas Roy)।
প্রত্যেক দল যখন নির্বাচনী প্রচার নিয়ে ব্যস্ত, সেই সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপি প্রার্থীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ কুণাল। তাঁর ‘প্রকৃত প্রার্থী’ মন্তব্য নিয়েও জোর চর্চা হয়েছিল। তৃণমূল (TMC) ছেড়ে সদ্য বিজেপিতে (BJP) যোগদান করা তাপস রায়ের বাড়িতেও অতীতে দেখা গিয়েছিল কুণালকে। সম্প্রতি প্রকাশ্যে তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তৃণমূল নেতা। এরপরেই ‘চরম’ পদক্ষেপ নেয় দল।
বুধবার প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কুণালকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। এবার এই প্রসঙ্গে কলকাতা উত্তরে বিজেপি প্রার্থী তাপস বললেন, ‘সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কান্নাকাটি করলেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়’। এদিন কুণালের পাল্টা প্রশংসাও করেন বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুনঃ বাড়ল চিন্তা! কর্মী ও পেনশনভোগীদের জন্য বড় বদল আনল পশ্চিমবঙ্গ সরকার, জারি বিজ্ঞপ্তি
তাপস বলেন, কুণাল যখন একাদশ শ্রেণির ছাত্র, তখন তিনি তাঁকে চেনেন। প্রবীণ রাজনীতিকের কথায়, জেল খাটার পরেও কুণাল যেভাবে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছে, দৌড়ে বেড়াচ্ছে, তার সত্যিই প্রশংসা যোগ্য। এরপরেই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন তিনি।
উত্তর কলকাতার বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূল প্রার্থীর নাম না নিয়েই তাপস বলেন, ‘কুণাল যখন জেলবন্দি, সেই সময় ও খ্যাঁক খ্যাঁক করে হেসে মজা নিত। এরপর নিজেও জেলে যায়। সবাই কষ্টে, যন্ত্রণায় ও আনন্দ উপভোগ করে। প্রচুর কষ্ট দিয়েছে’।
এদিকে লোকসভা ভোটের আবহে কুণালকে এভাবে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। গতকাল তৃণমূলের তরফ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক অতীতে কুণাল ঘোষ এমন বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন যা দলের নীতির সঙ্গে যায় না। নিজের ব্যক্তিগত মন্তব্য তিনি দলের হয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন।