বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিজেপি (BJP) নেতার রিসর্টে প্রকাশ্যে চলত ‘মধুচক্র’। একাধিক শিশু এবং কিশোরীদের জোর করে মধুচক্রের কাজে লাগানো হতো বলে অভিযোগ। বর্তমানে এই অভিযোগ সামনে আসতেই তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ এবং শেষ পর্যন্ত রিসর্টে অভিযান চালিয়ে শিশুদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে খবর। তবে এখনো পর্যন্ত পলাতক বিজেপি নেতা। এই ঘটনারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেঘালয়ে (Meghalaya)।
ঘটনার কেন্দ্রস্থল মেঘালয়ের পশ্চিম গারো হিল জেলা। মেঘালয়ের বিজেপির সহ-সভাপতি বার্নার্ড এন মারাক ওরফে রিম্পুর বিরুদ্ধে সম্প্রতি গুরুতর অভিযোগ ওঠে। বিজেপি নেতার রিসর্টে প্রকাশ্যে মধুচক্র চালানোর মতো অভিযোগ সামনে আসতে তল্লাশি চালায় মেঘালয় পুলিশ এবং বর্তমানে এই ঘটনায় রিসোর্টটি থেকে ৬ জন শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যে এই ঘটনা ৭৩ জনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনো পর্যন্ত বিজেপি নেতার কোনো রকম সন্ধান পায়নি প্রশাসন।
তবে শুধুমাত্র মধুচক্রই নয়জ এর পাশাপাশি মানব পাচার কাণ্ডেও নাম জড়িয়েছে রিম্পুর। পুলিশের অভিযোগ, “শিশুদের উদ্ধার করার সময় তারা ঠিকভাবে কথা বলতে পারেনি। এর থেকে প্রমাণিত যে, শিশুদের ওপর কিভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। কয়েকদিন পূর্বে মধুচক্র প্রসঙ্গে একাধিক অভিযোগ উঠে আসায় আমরা সন্ধান চালাই। বর্তমানে এই ঘটনায় ছয় জন শিশুকে উদ্ধার করা গিয়েছে এবং ৭৩ জনকে গ্রেফতার করেছি আমরা।”
যদিও বর্তমানে এ সকল অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা রিম্পু। তিনি বলেন, “আমি পলাতক নই। প্রথম থেকেই পুলিশকে সব রকম ভাবে সহায়তা করে এসেছি। তা সত্ত্বেও আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়ে চলেছে। আমার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ উঠে চলেছে, সব মিথ্যে। রিসার্টে কোনরকম খারাপ কাজ করা হতো না কিংবা কেউ অপরাধের সঙ্গে যুক্ত নয়।”
এছাড়াও তিনি বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্যই মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। তাই তিনি পুলিশকে কাজে লাগাচ্ছেন। তবে এ সকল অভিযোগ সত্য নয়, আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।”