বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা থেকে শুরু করে দলীয় বৈঠক, সব জায়গাতেই এখন সিএএ (CAA) নিয়ে উত্তেজনা চরমে। কিন্তু সম্প্রতি এই প্রক্রিয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন খোদ বিজেপিরই এক বিধায়ক। তাঁর আশঙ্কা, যাঁরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের আওতায় আবেদন করেছেন, তাঁরা আদৌ ২০২৬ সালের ভোট দিতে পারবেন তো?
কী নিয়ে আলোচনা বৈঠকে?
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি বিধায়ক মঙ্গলবার বিধানসভায় হওয়া এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই প্রশ্ন তোলেন। এইদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বালুরঘাটের সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ছিল সিএএ (CAA) এবং এসআইআর (SIR)–এর অগ্রগতি।
সিএএ (CAA) নিয়ে আশঙ্কা বিধায়কের
ওই বৈঠকে উত্তরবঙ্গের ওই বিধায়ক সাফ বলেন, “যাঁরা সিএএ-তে (CAA) আবেদন করছেন, তাঁরা আমাদের ক্যাম্পে আসছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁরা যদি ভোট দিতে না পারেন, তাহলে ২০২৬ সালে নির্বাচনে কীভাবে লড়ব? ভোটে জেতা তো দূরের কথা, এলাকায় পা রাখাও কঠিন হয়ে যাবে।”
তবে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সেই সময় আশ্বস্ত করেন বিধায়কদের। তাঁদের বক্তব্য, গোটা বিষয়টি সম্পর্কে দিল্লি নেতৃত্ব সম্পূর্ণ অবগত। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। বিজেপির সূত্র অনুযায়ী, বিষয়টি এখন দিল্লির কাছে অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।
তবে জানিয়ে রাখি, বিজেপি বিধায়কের উত্থাপিত প্রশ্নটি নতুন নয়। এর আগেই ‘আত্মদীপ’ নামে একটি সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিল এই একই বিষয়ে। তাঁদের দাবি ছিল, যাঁরা সিএএ-তে (CAA) আবেদন করেছেন, তাঁদের ভোটাধিকার যেন স্বীকৃত হয়। অন্ততপক্ষে, সিএএ আবেদনের রসিদ যেন ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)-এর সময় বৈধ নথি হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে, হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ সেই মামলা খারিজ করে দেয়। ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, “সব আবেদনকারীর বিষয়ে একসঙ্গে নির্দেশ দেওয়া সম্ভব নয়। পৃথক পৃথক মামলার ভিত্তিতে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।”

আদালত থেকে ফেরার পর এখন সেই একই প্রশ্ন এবার উঠেছে বিজেপির অভ্যন্তরে। ভোটের আগে সিএএ (CAA) আবেদনকারীদের ভোটাধিকার নিয়ে এই সংশয় দলীয় মহলে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই প্রশ্নের উত্তর না মিললে বিজেপির ভোটের অঙ্কেও প্রভাব পড়তে পারে।












