বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল বঙ্গ বিজেপি (BJP) এবং বামফ্রন্টের (Left Front) ১৭ জন বিধায়ক এবং সাংসদের বিরুদ্ধে। সেই সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার সরব হলেন বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁ । তিনি ফেসবুকে লিখেছেন যে, তিনি একবারের বিধায়ক, দুই বারের সাংসদ তার যে বেতন তার ৫০% টাকা পর্যন্ত তিনি সঞ্চয় করে রাখতে পারেননি। পাশাপাশি তিনি এও লেখেন, আমার বেতন জমিয়ে রাখতে পারলে অনেক টাকা হতl
তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তৃণমূল অনেক ভাবে আমার পিছনে লাগার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমি মানুষের সাথে আছি। দুর্নীতির সাথে কোনওদিন ছিলাম না আর থাকব ও না। গত লোকসভা ভোটের আগে আমি দাবি করেছিলাম শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে, বাংলায় কয়লা চুরি,বালি চুরি,পাথর চুরি থেকে সরকারি টাকায় বিশাল চুরি করছে তৃণমূল । লোকসভা ভোটের সময় বলেছিলাম তা ধীরে ধীরে প্রমান হচ্ছে বলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে যে, রাজ্যের বিরোধী দলের নেতাদের সম্পত্তি বহুগুণ করে বৃদ্ধি পেয়েছে এই অভিযোগে অভিজিৎ সরকার নামে এক আইনজীবী এই মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টে (Kolkata High court)।
যাদের নাম আছে
১) শুভেন্দু অধিকারী
২) শিশির অধিকারী
৩) দিব্যেন্দু অধিকারী
৪) লকেট চট্টোপাধ্যায়
৫) দিলীপ ঘোষ
৬) সৌমিত্র খাঁ
৭) মনোজ ওরাঁও
৮) আব্দুল মান্নান
৯) মিহির গোস্বামী
১০) অগ্নিমিত্রা পাল
১১) শমীক ভট্টাচার্য
১২) তন্ময় ভট্টাচার্য
১৩) শীলভদ্র দত্ত
১৪) বিশ্বজিৎ সিনহা
১৫) অনুপম হাজরা
১৬) মহম্মদ সেলিম
১৭) জিতেন্দ্র কুমার তিওয়ারি
অনেকেই দাবি করছেন তৃণমূল প্রতিশোধের রাজনীতি করছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস যে এবার আক্রমণের রাস্তায় হাঁটবে তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেদিনের বেহালার জনসভায় বক্তৃতা থেকেই বোঝা গিয়েছিল।
অভিযোগ, দিলীপ ঘোষ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়ের,অস্থাবর সম্পতি খুব বেশি না বাড়লেও বেড়েছে স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ। এখন দেখার এই সম্পত্তি বিষয়ক মামলা হাইকোর্টে কার এজলাসে ওঠে। আগামীকাল এই মামলার উপরেই নজর থাকবে রাজ্যবাসীর তা বলাই বাহুল্য। এদিকে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলে আমি সব তথ্য প্রকাশ করতে কোনও অসুবিধা নেই। আমি কোনওদিন দুর্নীতির সাথে ছিলাম না। তিনি এও বলেন তৃণমূলের পঞ্চয়েত প্রধান ও কাউন্সিলের থেকে আমার কাছে অনেক কম টাকা আছে। পাশাপাশি তিনি তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন|