বাংলাহান্ট ডেস্ক : শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নিল বিজেপি। শোকজের পর এবার সাময়িক ভাবে জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে বরখাস্ত করল দল।
বিজেপির অন্দরে দাউদাউ করে জ্বলছে বিদ্রোহের আগুন। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ দিয়ে তা শুরু হলেও এখনও কিছুতেই জল ঢালা যাচ্ছে না এই আগুনে। রবিবারই বিদ্রোহী নেতা শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে মেলামেশার কারণে জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ করেছিল দল। এবার সেই পথেই আরও কড়া পদক্ষেপ নিল বিজেপি। দলবিরোধী কার্যাকলাপের অভিযোগে বরখাস্ত হলেন ওই দুই নেতা।
রবিবার নেতাজির জন্মদিনে উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙার গৈপুরে পুরমন্ডলের সভাপতি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাগান বাড়িতে একটি চড়ুই ভাতি ছিল। শান্তনু ঠাকুর ছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারি। এরপরই শোকজ করা হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু এই শোকজের ঘন্টাখানেকের মধ্যেই ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাসও দেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল বিজেপি। ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত না হওয়া অবধি তাঁদের বরখাস্ত করল দল।
কিছুদিন আগেই দিল্লি থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘বিপ্লব করে খবরে থাকার চেষ্টা করে লাভ নেই’। একথাই মোটামুটি একটি জিনিস স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল যে বিদ্রোহীদের ভালো চোখে দেখবে না দল।
নেতাদের শোকজের পর রীতিমতো কড়া সুরেই শান্তনু ঠাকুর জানান, ‘আমার সঙ্গে আরও অনেক নেতাই দেখা করবেন। কতজনকে শোকজ করবে ওরা? সবাইকে কি বাদ দিয়ে দেবে নাকি? সব বিক্ষুব্ধদের কি বাদ দেওয়া সম্ভব? ওদের যা ইচ্ছে ওরা করুক।’ এরপরই কার্যতই নেতাদের ‘বাদ’ই দিল গেরুয়া শিবির। পুরো ঘটনায় কোনো প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারির কাছ থেকে।