বাংলাহান্ট ডেস্ক : খাস কলকাতায় রহস্যমৃত্যু বিজেপি কর্মীর। রেল কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হল ঝুলন্ত দেহ। ঘটনার জেরে তীব্র চাঞ্চল্য এবং শোরগোল ছড়িয়েছে এলাকায়। ওই বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাটি খুন নাকি আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।
জানা যাচ্ছে, মৃত বিজেপি কর্মীর নাম অর্জুন চৌরাসিয়া। শুক্রবার সকালে চিৎপুর এলাকার রেল কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার করা হয় তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ। অর্জুন এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত ছিলেন। এমনকি কলকাতা পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যুব মোর্চার সহ সভাপতিও ছিলেন তিনি।
পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ জরুরি কাজে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বের হন অর্জুন। কিন্তু সন্ধ্যে গড়িয়ে মাঝরাত হলেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। ফোনেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি যুবকের সঙ্গে। এরপরই সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় খোঁজখবর নিতে থাকে পরিবার। কিন্তু কোথাও না মেলায় শুক্রবার সকালেই থানায় মিসিং ডায়রি করার কথা ভেবেছিল পরিবার। তার আগেই বাড়ির পাশের রেল কোয়ার্টারের নীচের তলার একটি ঘর থেকে উদ্ধার হল বিজেপি কর্মীর দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা শুক্রবার সকালে হঠাৎই দেখেন ওই ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছে অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহটি। তৎক্ষনাৎ খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে চিৎপুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুরো বিষয়টির তদন্ত করছে লালবাজার গোয়েন্দা বিভাগের সায়েন্টিফিক উইং।
পুলিশ অবশ্য বিষয়টিকে আত্মহত্যা ভাবতে খুব একটা রাজি নয় মোটেই। কারণ মৃত্যুর সময় একেবারে কেতাদুরস্ত অবস্থাতেই ছিলেন অর্জুন। পায়ে পালিশ করা চকচকে জুতো, ইন করে পরা ইস্ত্রি করা জামাকাপড়ের কোথাওই বিধ্বস্ত হওয়ার এতটুকুও প্রমাণ নেই। শুধু তাইই নয়, ঝুলন্ত অবস্থাতেও মাটিতে লেগে ছিল ওই বিজেপি কর্মীর পা। কেউ আত্মহত্যা করলে কীভাবে পা মাটিতে লেগে থাকা সম্ভব তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া না গেলেও ছেলেকে খুন করা হয়েছে এই দাবিতেই অনড় পরিবার।