বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার বুকে ফের একবার বোমাবাজির ঘটনা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে বোমাবাজির ঘটনায় ফের একবার প্রকাশ্যে এলো তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব। যদিও এই ঘটনায় নেপথ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলেই অভিযোগ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির (Bharatiya Janata Party)। বোমাবাজির খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ এবং ইতিমধ্যে দুটি তাজা বোমা উদ্ধার করা গিয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।
সূত্রের খবর, গতকাল রাতে কৃষ্ণনগরের নগেন্দ্রনগর এলাকায় একের পর এক বোমা পড়তে থাকে। বোমার আওয়াজে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এলাকাবাসীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকজন দুষ্কৃতী এলাকায় প্রবেশ করে এবং এরপর বোমাবাজির পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয়।
এ ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় স্থানীয় থানার পুলিশ। পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সেখানে পৌঁছায় বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী। পরবর্তীতে এলাকা থেকে দুটি তাজা বোমা উদ্ধার করে তারা।
সম্পূর্ণ ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কৌশিক বিশ্বাস বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মীর বাড়িতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। সেই সময় তাঁর বাড়িতে হামলা চালানোর উদ্দেশ্যে এলাকায় প্রবেশ করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। বোমা মারার পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয়।” একই সঙ্গে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও অপরদিকে এই ঘটনায় শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলেই দাবি বিজেপির।
বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বাংলায় এই প্রথম নয়। সম্প্রতি মিনাখাঁয় এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা ফেটে গুরতরভাবে জখম হয়ে পড়ে এক শিশু। এক্ষেত্রে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে কি কারণে বোমা মজুত রাখা হয়েছিল, সে বিষয়ে স্পষ্ট না জানা গেলেও পরবর্তীতে মৃত্যু হয় শিশুটির এবং এক্ষেত্রে তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পাশাপাশি সম্প্রতি বীরভূমের সাঁইথিয়ায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা আহত হয় এক তৃণমূল কর্মী এবং অপর এক নাবালক।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পূর্বে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরব বিরোধী দলগুলি। এক্ষেত্রে বোমা মজুত রাখার নেপথ্যে শাসক দলের যোগ রয়েছে এবং পঞ্চায়েতের পূর্বে গোটা বাংলা জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য তাদের এই ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে আসছে সিপিএম এবং বিজেপির মতো দলগুলি। এদিন কৃষ্ণনগরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা যেন তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ।