প্রাথমিক শিক্ষা সংগঠনের চিঠি শিক্ষামন্ত্রীকে, কিন্তু সভাপতি অশোক রুদ্রকে চিনতেই পারলেন না ব্রাত্য!

বাংলাহান্ট ডেস্ক : একাধিক দাবি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) চিঠি লিখেছিল শাসক দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী তো চিনতেই পারলেন না চিঠির প্রেরক কে। সভাপতি অশোক রুদ্রের (Ashoke Rudra) সই করা ওই চিঠি পৌঁছে যায় শিক্ষা দফতরে। সেই চিঠিতে বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি দাবি করা হয় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকদের সংখ্যায় সামঞ্জস্য আনতে অনেককেই বহু দূরের কোনও স্কুলে বদলি করা হয়েছে। বদলি হওয়া শিক্ষকদের মধ্যে বেশির ভাগই তৃণমূল দল বা দলের কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। এরই সঙ্গে শিক্ষকদের বেতনবৃদ্ধিরও দাবি জানানো হয় এই চিঠিতে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে এই চিঠি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল ভবনে তো অনেকেই আসেন। কিন্তু কে এই অশোক রুদ্র? ঠিক চিনতে পারছি না তো!’

দলীয় সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠিতে নিজেদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে সওয়াল করেছেন সংগঠনের সভাপতি অশোক রুদ্র। এই চিঠিতে মূলত, প্রধান শিক্ষক প্যানেল তৈরির আবেদন, শিক্ষকদের স্বাস্থ্যসাথীর পরিবর্তে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিমের আওতায় আনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে দাবি জানান হয়। তবে এই চিঠির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল তৃতীয় এবং দশম পয়েন্ট দুটি। তৃতীয় পয়েন্টে বলা হয়, ”সম্প্রতি রাজ্য জুড়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ‘সারপ্লাস অ্যাডজাস্টমেন্ট’ করা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের দল বা সংগঠনের লোকেদের অনেক দূরের কোনও স্কুলে বদলি করা হয়েছে।’’

দশম পয়েন্টে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত আর্থিক বিষয়গুলি দ্রুততার সঙ্গে বিবেচনা করারও আবেদন জানানো হয়েছে। অবশ্য এই চিঠিতে দাবি করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী আর্থিক নীতির জন্যই চরম অর্থিক সঙ্কটে পড়েছে রাজ্য সরকার। বিভিন্ন দাবি জানানোর পাশাপাশি রাজ্য সরকারের প্রতি আনুগত্য দেখাতে একটুও ভুল করেন নি সংগঠনের সভাপতি অশোক রুদ্র। তাই চিঠিট মধ্যে রাজ্যের শাসক দলের সুরে সুর মিলিয়ে কেন্দ্রকে দুষেছেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।

সংগঠনের সভাপতি অশোকবাবু ওই চিঠিতে আরও লেখেন, ‘আমরা শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রাথমিক শিক্ষকদের কিছু দাবিদাওয়া তুলে ধরেছি। রাজ্যের একাধিক প্রাথমিক স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কাজ চালাতে হচ্ছে টিচার ইন চার্জকেই। তার বদলে বাংলার সমস্ত স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের দাবি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানিয়েছি।’ শাসক দলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন জানায়, শিক্ষামন্ত্রী মন দিয়ে সমস্ত দাবিদাওয়ার কথা শুনেছেন। এরই সঙ্গে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন তা খতিয়ে দেখার। এবং সমস্যা সমাধানে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানিয়েছেন।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর