বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ চলতি বিশ্বকাপে (2023 ODI World Cup) অসাধারণ ফর্মে রয়েছে ভারতীয় দল (Indian Cricket Team)। আর তারাই আগামী রবিবার কলকাতার (Kolkata) ইডেন গার্ডেন্সে (Eden Gardens) মাঠে নামতে চলেছে। ওই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ দুর্দান্ত ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনার পারদ চড়েছে অনেক। কিন্তু টিকিটের সন্ধানে গিয়ে বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা দেখছেন কিভাবে ব্ল্যাকারদের রমরমা চলছে ওই ম্যাচকে কেন্দ্র করে। নির্দিষ্ট মূল্যের টিকিট কিনতে হচ্ছে ১০ গুণ বেশি দাম দিয়ে। এই নিয়েই এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) দাদা এবং বর্তমানে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের (CAB) সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়কে থানায় ডেকে পাঠালো কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ময়দান থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। টিকিটের কালোবাজারির এত মারাত্মক অভিযোগ কেন উঠছে, এই নিয়ে প্রশ্ন করা হবে তাকে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে তদন্ত চালিয়ে ১১ জনকে এই গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। সিএবি সভাপতির কাছ থেকে আরও অতিরিক্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায় কিনা সেটা জানতে উৎসুক হয়ে রয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরাও।
এক ক্রিকেটপ্রেমীর কাছ থেকে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানা গিয়েছে যে ৭০০০ টাকার টিকিট, ২৫০০০ টাকায় বিক্রি করতে চাইছে ব্ল্যাকাররা। কালোবাজারি করে এবারে সব বিশ্বকাপের টিকিট বাজার থেকে হাওয়া করে দেওয়া হয়েছে, ঠিক যেমনভাবে রেলের রিসার্ভেশনের দুর্নীতির ক্ষেত্রে উধাও হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মজা করে শুভমানের স্পর্শকাতর অঙ্গে ব্যাটের গুঁতো কোহলির! জখম গিল পরের ম্যাচ খেলতে পারবেন?
এমন দুর্নীতি দেখে হতাশ হয়ে গিয়েছেন অনেকেই। বেশ কিছু ভারতীয় দলের ভক্ত মন্তব্য করছেন যে দরকার হলে জীবনে বিশ্বকাপ দেখবেন না। কিন্তু এতো অন্যায্য টাকা খরচ করে দেখতে যাওয়ার ইচ্ছে নেই। এই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতির পাশাপাশি এবার বিশ্বকাপের টিকিট বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়েও যে দুর্নীতির শিকার হতে হবে সাধারণ মানুষকে, সেটা অনেকেই চিন্তা করেননি।
আরও পড়ুন: সচিন আর ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকা নন! এই কাজ করে কোহলি ছিনিয়ে নিলেন বিরাট সম্মান
এ বিষয়ে গতকাল বক্তব্য রেখেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি কিছুটা যেন দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছিলেন বিসিসিআইয়ের উপর। বৃহস্পতিবার ইডেনে এসে সিএবি সদস্যরাও টিকিট পাচ্ছেন না শুনে সৌরভ মন্তব্য করেন, “টিকিটের দায়িত্ব বিসিসিআইয়ের সিএবি-র সদস্যেরা টিকিট না পেলেও কিছু করার নেই। তা-ও তো সিএবি ৩০০০ টিকিট দিয়েছে সদস্যদের। আর সিএবি-র পক্ষে কোনওভাবেই কালোবাজারি আটকানো সম্ভব নয়। সেইটা করার রাস্তা পুলিশকে খুঁজে বার করতে হবে।”