বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় (National Anthem Dishonoring Case) স্বস্তিতে বিজেপি (BJP)। বিধানসভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করেছেন বিজেপির ১০ জন বিধায়ক। এই অভিযোগ তুলে ওই দশ গেরুয়া MLA-র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। এদের মধ্যে ৮ বিধায়ককে তলবও করেছিল লালবাজার। যার পাল্টা বিজেপি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিল।
এদিন এই মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়ে দিল এখনই এই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতির নির্দেশ, আগামী বৃহস্পতিবার বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের পাঠানো সমনও স্থগিত থাকবে।
বিচারপতির প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, জাতীয় সঙ্গীত শুনেও বিজেপি বিধায়করা থামেননি এমনটা নয়। এদিন এজলাসে রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতির প্রশ্ন, অন্য ধর্না তো আগে থেকেই চলছিল। তাহলে ধর্না চলাকালীন হঠাৎ কেন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হল?’
বিচারপতি আরও বলেন, ‘যদি এখন এজলাসে কেউ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন, তাহলে সেই বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে?’ বিচারপতি এও বলেন, ‘এই ধরনের ছেলেমানুষি মামলার জন্য কত মামলা আটকে রয়েছে। স্লোগান চলছিল দেখেও জাতীয় সঙ্গীত করার কী কোনও দরকার ছিল?’’ এদিকে বিজেপি পক্ষের আইনজীবী রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সরব হন। তার দাবি, অপরাধযোগ্য না হওয়া সত্ত্বেও বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার ধারাও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরই বিজেপি বিধায়কদের মৌখিক রক্ষাকবচ দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: অবিবাহিতদের এককালীন ২৫০০০ টাকা দিচ্ছে মমতা সরকার! এই ভাবে সহজেই করুন আবেদন
প্রসঙ্গত, গত বুধবার ধর্মতলায় অমিত শাহের সভা ছিল। ওদিকে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির নিচে তৃণমূলের ধর্না চলছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। শাহী সভা শেষ হওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী সহ অন্য বিজেপি অন্য বিধায়করা বিধানসভায় আসেন। তৃণমূলের ধর্নার পাল্টা ধর্না শুরু করে বিজেপি। বিজেপি বিধায়কদের ‘চোর, চোর’ স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা চত্বর। এই উত্তপ্ত আবহেই তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচির শেষে সকলকে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালীনও থামেননি বিজেপি বিধায়করা। জোরে জোরে স্লোগান দিতে থাকে। এই ঘটনাতেই ওই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।