কয়লা পাচার কাণ্ডে নয়া মোড়! অভিষেকের শ্যালিকাকে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে কয়লা পাচার কাণ্ডে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) একাধিকবার তলব করে তদন্তকারী সংস্থা। একইসঙ্গে, অভিষেক স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরও (Menaka Gambhir) বর্তমানে ইডির (Enforcement Directorate) নজরে রয়েছেন। সম্প্রতি, ব্যাঙ্কক যাওয়ার উদ্দেশ্যে কলকাতা বিমানবন্দরে রওনা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা। তবে পরমুহূর্তেই বিমানবন্দরে তাঁকে আটকায় অভিবাসন দফতর। এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন ইডিকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কয়লা পাচারকাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার তলব করে চলেছে তদন্তকারী অফিসাররা। এক্ষেত্রে বর্তমানে তাঁর শ্যালিকা মেনকা গম্ভীর তদন্তের মূল কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। সম্প্রতি, কলকাতা বিমানবন্দরে আটকানোর পাশাপাশি তাঁকে সমন পর্যন্ত পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

যদিও উক্ত সমন ঘিরে একাধিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। জেরার সময় নিয়ে ত্রুটির জেরে গভীর রাতে ইডি দফতরে গিয়ে হাজির হন মেনকা গম্ভীর। পরবর্তীতে অফিস বন্ধ থাকার কারণে পরের দিন দুপুরে ফের একবার সিজিও কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন তিনি এবং বেশ কয়েক ঘন্টা চলে জিজ্ঞাসাবাদ।

সূত্রের খবর, ইডি জেরা শেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শ্যালিকা। এক্ষেত্রে কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে আটকানোয় আদালতের নির্দেশের অবমাননা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন এদিন ইডিকে নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে ইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে, মেনকা গম্ভীরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের পাশাপাশি কোনরকম কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। তবে পরবর্তীতে কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে কেন আটকানো হলো, সেই প্রসঙ্গটি তুলে ধরে এদিন মেনকার আইনজীবী জানান, “আমার মক্কেলের মা অসুস্থ। সেই খবর পেয়ে উনি ব্যাঙ্ককে যাচ্ছিলেন। তবে এরপরেই তাঁর পথ আটকানো হয়। এই ঘটনায় আসলে আদালতের অবমাননা হয়েছে।”

Untitled design 76

যদিও পরবর্তীতে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য বলেন, “এটিকে কড়া পদক্ষেপ না বলে হয়রানি আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ইডি একটি পক্ষ, ফলে তাদের বক্তব্য না শুনে কোনরকম নির্দেশ দেওয়া উচিত নয়।” একইসঙ্গে মেনকার আইনজীবীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “প্রয়োজনে ইডিকে নোটিশ পাঠাতে পারেন।” অর্থাৎ হাইকোর্টের এদিনকার রায় অনুযায়ী, পরবর্তী শুনানি যতদিন পর্যন্ত না হচ্ছে, ততদিন অব্দি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা বিদেশে যেতে পারবেন না।

ad

Sayan Das

সম্পর্কিত খবর