বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনও অধরা। এই মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত আরজিকর কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। এই মামলারয় নব্বই দিনের মধ্যে সিবিআই চার্জশিট পেশ করতে না পারায় ইতিমধ্যেই জামিন পেয়েছে সন্দীপ ঘোষ। আর সন্দীপ ঘোষ জামিন পাওয়ার পরেই আরও একবার নতুন করে আন্দোলনে নেমেছেন রাজ্যের ডাক্তাররা।
নানান টালবাহানায় রাজ্যের ওপর অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে আন্দোলন। নতুন বছর শুরুর আগেই আরও একবার নতুন মাত্রা পেয়েছে হয়েছে প্রতিবাদ আন্দোলন। আর এই আন্দোলন নিয়েই আরও একবার সংঘাত শুরু হয়েছে রাজ্যের সঙ্গে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলছেন আন্দোলনকারীরা।
তাই সোমবারেও রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Tirthankar Ghosh) আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে এবং সন্দীপ ঘোষের জামিনের বিরোধিতা করে প্রশ্ন তুলতে প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে তিলোত্তমার জেলা উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে।
এবার এই কর্মসূচিতে অনুমতি দিতেও নানা রকম টালবাহানার অভিযোগ উঠছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাই অনুমতি পেতে এবার ‘অভয়া’ মঞ্চের প্রতিনিধিরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এই মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আন্দোলন কারীদের কর্মসূচি করার অনুমতি দিয়ে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে রাজ্যকে। রাজ্যের উদ্দেশ্যে এদিন বিচারপতি ঘোষ, সরাসরি মন্তব্য করেছেন, ‘আপনারা গণতন্ত্রের সঙ্গে সংঘাতে যাচ্ছেন’।
আরও পড়ুন: এভাবেও অত্যাচার করতে পারেন স্ত্রী! ডিভোর্সের মামলায় বিরাট পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
আগামী কাল বারাসাতের কর্মসূচিতে সর্বাধিক দেড় হাজার জমায়েত করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, মঙ্গলবার জেলা শাসকের অফিসের সামনে যে জমায়েত হবে তা দুপুর ২:৩০ মিনিট থেকে বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ করতে হবে। আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে খবর প্রথমে বারাসাতের কাছারি ময়দানে এই কর্মসূচি করার অনুমতি চেয়েছিলেন অভয়া মঞ্চের সদস্যরা।
যদিও সেই সময়ে রাজ্য জানিয়েছিল, সেখানে জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কর্মসূচি রয়েছে। কিন্তু মঞ্চের আইনজীবি এদিন জানান, ওখানে আগামীকাল কোনো কিছুই নেই। তারপরেই এদিন রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।