বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মার্চ মাসে আচমকাই ভেঙে পড়ে গার্ডেনরিচের (Garden Reach Incident) একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের একাংশ। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৩ জন। ভেঙে পড়া বহুতলটি যে বেআইনিভাবে তৈরি হয়েছিল তা আগেই মেনে নিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্কে জড়িয়েছে কলকাতা পুর প্রশাসন। গার্ডেনরিচের এই কাণ্ডে পুরসভার আধিকারিকরাও যুক্ত বলে অনুমান কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)।
গার্ডেনরিচে বহুতল ভেঙে পড়ার পর হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সোমবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। আজ রাজ্য এবং পুরসভার তরফ থেকে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, এখনও অবধি এই ঘটনায় দু’টি গ্রেফতারি হয়েছে। একজন পলাতক, তল্লাশি চলছে। তখনই পুরসভার (KMC) আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা জানতে চায় হাই কোর্ট।
রাজ্যের রিপোর্ট দেখার পর জাস্টিস বাগচি এবং জাস্টিস কান্তের বেঞ্চের মন্তব্য, ‘এমন গ্রেফতারি দেখতে ভালো লাগে। তবে পুরসভার যে আধিকারিকদের সহায়তায় বেআইনি নির্মাণ হল, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে?’ গার্ডেনরিচ কাণ্ডে আদালতের পর্যবেক্ষণ, এতদিন ধরে পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) যে আধিকারিকরা মুখে কুলুপ এঁটে ছিলেন, তাঁরাও এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। তাঁরাই আসল দোষী। এই বিষয়টিও তদন্তের প্রয়োজন আছে বলে মনে করে আদালত।
আরও পড়ুনঃ CAA চালু হলে ঠাকুরবাড়ি উড়িয়ে দেব! লস্কর-ই-তৈবার নাম করে হুমকি চিঠি BJP-র শান্তনু ঠাকুরকে
এরপর পুরসভার থেকে জাস্টিস বাগচি জানতে চান, পুরসভার আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কি শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে? নাকি বেআইনি নির্মাণ দেখার পরেও যারা মুখে বুজে ছিলেন সেই পুর আধিকারিকদের পুরস্কৃত করা হয়েছে?
গার্ডেনরিচ কাণ্ডে বিচারপতি স্পষ্ট জানান, সংশ্লিষ্ট পুর আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। দরকার হলে সাসপেন্ড করুক। পুরসভার তরফ থেকে তখন জানানো হয়, ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।