বাংলা হান্ট ডেস্ক : জারি রইল রাসের সময় দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) বিখ্যাত বোল্লা কালীর পুজোয় (Bolla Kali Puja) ১০ হাজার পাঁঠাবলির (10 Thousand Goat) রীতি। মানুষের ব্যক্তিগত বিশ্বাসের উপর হস্তক্ষেপ করলনা কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দক্ষিণ দিনাজপুরের বোল্লা কালীর পুজোয় যাতে বলি যাতে না দেওয়া হয়, সেইজন্যই হাইকোর্টে যে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল তা সম্পূর্ণরূপে খারিজ করল আদালত।
জাল্লিকাট্টুর মতো খেলাকেও বৈধ বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট
সূত্রের খবর, প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানিতে জানিয়েছে, এইসব উৎসব এবং রীতি রেওয়াজের সাথে মানুষের বিশ্বাস জড়িয়ে থাকে। এইসব উৎসবের আমেজ থাকে অন্যরকম। বহু রাজ্যে মোরগ লড়াই হয়ে থাকে। এমনকি জাল্লিকাট্টুর মতো খেলার উপরেও কোনোরকম বিধিনিষেধ আরোপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। আর তাই মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগকে মর্যাদা দিতেই এই প্রথার বিরুদ্ধেও হস্তক্ষেপ করল না আদালত।
আরও পড়ুন : আচমকাই ফেসবুকে হাজার হাজার অ্যাকাউন্ট ডিলিট! ভারতের জন্য কড়া সতর্কবার্তা জারি করল মেটা
বোল্লা কালী পুজোর পাঁঠা বলিকে নিষিদ্ধ করার দাবি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দক্ষিণ দিনাজপুরের রাসপূর্ণিমার পর বোল্লা গ্রামে শুরু হয় বোল্লা কালী পুজো। এই পুজোর সময় ফি বছর নিয়ম করে ১০ হাজার পাঁঠা বলি দেওয়া হয়। আশেপাশের প্রচুর মানুষ এই পাঁঠা বলির অনুষ্ঠানে যোগদান করে থাকেন। আর সেই পাঁঠা বলি নিষিদ্ধ করার জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি ছিল, লাইসেন্স ছাড়া পশুবলি দেওয়া বন্ধ করা উচিত।
আরও পড়ুন : ব্রিজ, রেল লাইন অতীত, রাতারাতি গায়েব আস্ত মোবাইল টাওয়ার! ঘুম ভাঙতেই তাজ্জব গ্রামবাসী
বলি বন্ধ করা সম্ভব নয়
এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, ‘উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে বলি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে পুজো কমিটিকে বলতে পারি, যাতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা করে।’ এইদিন শুনানির সময়, জাল্লিকাট্টুর প্রসঙ্গও তুলে আনে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন : ব্যাঙ্ক থেকে আধার, সিম ও ক্রেডিট কার্ড! ডিসেম্বরে বদলাচ্ছে ৮ নিয়ম! বিপদে পড়ার আগে সেরে ফেলুন কাজ
বিচারপতি জানিয়েছেন, চলতি বছর তামিলনাড়ুর জাল্লিকাট্টু অর্থাৎ ষাঁড়ের লড়াইয়ের উপরেও কোনও হস্তক্ষেপ করেনি সুপ্রিম কোর্ট। তামিলনাড়ু সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত আইনকেই বৈধতা দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কেএম জোসেফের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চের রায়, জাল্লিকাট্টুর সঙ্গে নৃশংসতার কোনও যোগ নেই। তবে খেলায় যে পশুদের পাঠানো হচ্ছে তাদের সুরক্ষার বিষয়টা রাজ্যকেই নিশ্চিত করতে হবে।