বহু হাত ঘুরে ১ কোটির লটারির টিকিট আসে অনুব্রতর কাছে, লটারি রহস্যের সমাধানে জোর তল্লাশি CBI-এর

বাংলাহান্ট ডেস্ক : অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) এক কোটি টাকার লটারির রহস্য উদ্ধার করতে আরও কোমর বেঁধে নামল সিবিআই (CBI)। শুক্রবার লটারি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত একের পর এক ব্যক্তিকে তলব করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, একাধিক হাত ঘুরে বিক্রি হয়েছিল ওই লটারির টিকিট। কার কাছ থেকে অনুব্রত মণ্ডল টিকিট কিনেছিলেন, সেটা জানতে উঠে পড়ে লেগেছেন তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথমে লটারির টিকিট রাহুল লটারি এজেন্সি বিক্রি করে রণজিৎ ধীবর নামে এক পাইকারি ও খুচরো লটারি টিকিট বিক্রেতাকে। তাঁর কাছ থেকে টিকিট নেন মুন্না শেখ ওরফে কালাম। তিনিও একজন লটারি বিক্রেতা। তাঁর হাত দিয়েই বিক্রি হয়েছিল সেই লটারি টিকিট। জানা যাচ্ছে, তাঁকেও শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।

এই মুন্না শেখের দোকান বোলপুর থানার নাহিনা গ্রামে। সেখানেই একজনকে টিকিট বিক্রি করেন তিনি। শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুন্না শেখ জানান, তিনি টিকিট বিক্রি করেছিলেন এটা ঠিক, তবে কাকে বিক্রি করেছিলেন, সেটা নাকি তাঁর মনে নেই। তিনি দাবি করেন, বহু মানুষ লটারির টিকিট কেনেন, কে ওই টিকিটটি কিনেছিলেন, তা জানা নেই তাঁর। অপরদিকে, রণজিৎ ধীবর জানান, তাঁর হাত দিয়ে এই টিকিট বিক্রি হয়নি, তাই কে কিনেছিলেন, তা বোঝা সম্ভব নয়।

এর আগে লটারি ব্যবসায়ী বাপি গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করেন সিবিআই গোয়েন্দারা। নিজাম প্যালেসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। এরপর ওই লটারির দোকানে আচমকা হানাও দেয় সিবিআই। তাঁদের সন্দেহ, গরু পাচারের মোটা টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হচ্ছিল। সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই লটারি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র সিবিআই আধিকারিকদের কাছে দ্রুত জমা দিতে হবে।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজ্যের এক জনপ্রিয় লটারি সংস্থার একটি ওয়েবসাইটে ১ কোটি টাকার লটারি বিজেতা হিসেবে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির নাম উঠে আসে। সে সময় এই বিষয় কোনও মন্তব্য করেননি কেষ্ট। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে তদন্তকারীদেরও কোনও উত্তর দেননি অনুব্রত। সেই ঘটনার প্রায় ১০ মাস পরে সেই লটারি-কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

Sudipto

সম্পর্কিত খবর