বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একেই গতবছর থেকে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যু নিয়ে তোলপাড়। ওদিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে রাজ্যে পুর নিয়োগ দুর্নীতির (Municipality Recruitment Scam) হদিস পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এককথায় যাকে বলে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। আদালতের নির্দেশে পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নামে সিবিআই (CBI)। আর এই মামলায় এবার কামারহাটি পুরসভার (Kamarhati municipality) কাছে নথি চেয়ে পাঠাল গোয়েন্দা সংস্থা।
এই কামারহাটি পুরসভার সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে এই পুরসভার কাছে যে কেবল নথি চাওয়া হয়েছে তেমনটাই নয়। সূত্রের খবর পুরসভার ৩৪ জন কর্মীকেও তলব করেছে সিবিআই। যদিও এই প্রথমবার নয়, পুর দুর্নীতির তদন্তে নেমে এর আগেও ১৮ জন পুরসভার কর্মীদের ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। এবার ফের একবার পড়ল ডাক। ফের একবার তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন পুর কর্মীরা।
আরও পড়ুন: এই প্রথম গরু পাচার মামলায় ‘বড়’ জামিন দিল দিল্লি হাই কোর্ট, তোলপাড় বাংলা
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের সূত্র ধরেই সর্বপ্রথম পুর নিয়োগ দুর্নীতির খোঁজ মেলে। সিবিআই এর অভিযোগ, এই অয়ন শীলের একটি সংস্থার মাধ্যমে ১৪টি পুরসভায় মোটা টাকার বিনিময়ে কর্মী নিয়োগ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এই চাকরি বিক্রি চক্রে একাধিক সরকারি আধিকারিকদের পাশাপাশি প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রী, বিধায়কেরা জড়িত রয়েছেন বলেও দাবি সিবিআই এর।
সিবিআই এর নজরে যে ১৪টি পুরসভা রয়েছে সেই তালিকায় কামারহাটির পাশাপাশি রয়েছে হালিশহর পুরসভা, উত্তর ২৪ পরগনার দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, বরাহনগর, পানিহাটি। ওদিকে বেশ কিছুদিন আগে এই অয়ন শীলের সূত্রেই উঠে এসেছিল তার বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম।
সেইসময় তাকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিলেন গোয়েন্দারা। ঘটনাচক্রে এই শ্বেতাও কামারহাটি পুরসভার কর্মী। যখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল, তারপরই পুরসভায় শ্বেতার সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন মদন মিত্র। সেই নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। সেই প্রসঙ্গ মিটে গেলেও এবার ফের একবার শিরোনামে উঠে এল কামারহাটি পুরসভা।