তুরস্কে কবরস্থানের কাছ থেকে মিলল কয়েকশ বছরের পুরোনো মন্দির! স্তম্ভিত অনুসন্ধানকারীরাও

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার তুরস্কের (Turkey) একটি পুরোনো দুর্গ খননের সময়ে সন্ধান মিলল কয়েকশ বছরের একটি মন্দিরের। প্রত্নতাত্ত্বিকদের মতে, ওই মন্দিরটি রাজা মিনুয়ার (King Menua) সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, এই পুরোনো দুর্গটি পূর্ব তুরস্কের ভ্যান জেলায় অবস্থিত। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা এর আগেও রাজা মিনুয়ার সাথে সম্পর্কিত মন্দিরের সন্ধান পেয়েছেন।

একটি তুর্কি দুর্গের খননকালে মন্দিরটি পাওয়া গেছে: মূলত, যে প্রাচীন দুর্গটির খননকালে প্রত্নতাত্ত্বিকরা এই মন্দিরটি খুঁজে পেয়েছেন সেটির আধুনিক তুর্কি নাম হল “Körzüt”। বলা হচ্ছে, এই মন্দিরটি খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীতে রাজা মিনুয়া নির্মাণ করেছিলেন। ভ্যান মিউজিয়াম কর্তৃক চলা এই খননকার্যে ইতিমধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করা হয়েছে। এমতাবস্থায়, তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রকের অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দুর্গে খনন কাজ এখনও চলছে।

এর আগেও মন্দির পাওয়া গেছে: ভ্যান ইউজুনকু ইল ইউনিভার্সিটির প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সাবাহাতিন আরদোয়ানের নেতৃত্বে চলা এই খননের জন্য তুর্কি সরকার আর্থিক সাহায্য করছে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই দুর্গের ভিতরে পাওয়া মন্দিরটি কর্বেলিং কৌশলে তৈরি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ওই খননে মাটির তৈরি বাসনপত্রের টুকরো ও ধাতব নিদর্শনও পাওয়া গেছে। এই প্রসঙ্গে অধ্যাপক আরদোয়ান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর দল প্রাচীন এই দুর্গ থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস খুঁজে পেয়েছে। এসবই ওই অঞ্চলের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। আরদোয়ানের মতে, এটি হল দ্বিতীয় মন্দির যেটির সন্ধান পাওয়া গেছে। কিছুদিন আগেই রাজা মিনুয়ার প্রথম মন্দিরটিও পাওয়া গিয়েছিল।

মন্দিরের কাছে মিলেছে সমাধি: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, শীত শুরু হওয়ায় ওই স্থানে খনন কাজ আপাতত বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায়, শীতের প্রকোপ কমলে আবার খনন কাজ শুরু হবে। এই প্রসঙ্গে আরদোয়ান বলেন, “খননকালে তিনি দ্বিতীয় মন্দিরটি খুঁজে পান। মন্দিরের কাছে একটি সমাধিও পাওয়া গেছে। ওই এলাকা থেকে প্রচুর প্রাচীন কালের বাসনপত্রও পাওয়া যায়। এটি খননের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সেখানে পাওয়া বাসনপত্রগুলি মধ্যযুগের। এর সাথে দুর্গের বাইরে একটি কবরস্থানও পাওয়া গেছে। যেটির সন্ধান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।”

কয়েকদিন আগেই সমুদ্রে রাস্তার দেখা মিলেছে: এর আগে নটিলাস (Nautilus) নামের এক্সপ্লোরেশন ভেসেলের (Exploration Vessel) ক্রু সদস্যরা সমুদ্রের গভীরে একটি রাস্তা আবিষ্কার করেছিলেন। প্রশান্ত মহাসাগরের পাপাহানাউমোকুয়াকে মেরিন ন্যাশনাল মনুমেন্টের একটি এলাকায় গবেষণা করার সময় গবেষকরা এই রাস্তাটির সন্ধান পান। পাশাপাশি, এই সংক্রান্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, রহস্যময় ওই হ্রদের তলদেশ শুকনো অবস্থায় পাওয়া গেছে। যা একটি অস্বাভাবিক ব্যাপার। যে গবেষকরা এই রহস্যময় রাস্তাটি আবিষ্কার করেছেন তাঁরা ইউটিউবে এই সম্পর্কিত একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর