বাংলাহান্ট ডেস্কঃ অঙ্গীকার করেছিলেন সবসময় মানুষের পাশে থাকবেন। আর বিধায়ক হওয়ার পরও সেই কর্তব্যে অবিচল থাকলেন শালতোড়ার বিজেপি (bjp) বিধায়ক চন্দনা বাউরি (chandana bauri)। পাশে দাঁড়ালেন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিশিণ্ডা গ্রামের বাবা-মা হারানো ৪ অসহায় নাবালকের।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সবথেকে দরিদ্র প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন চন্দনা বাউরি। তাঁর স্বামী পেশায় একজন দিনমুজুর এবং তিনি নিজেও ১০০ দিনের কাজ করতেন। কোনরকমে বাঁকুড়া শালতোড়া একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাঁচা বাড়িতে বসবাস তাঁর। বাড়িতে নেই তাঁর পানীয় জলের সংযোগ। এমনকি শৌচাগার পর্যন্তও নেই।
বিধানসভা নির্বাচনের পর যখন অন্যান্য সকল বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিচ্ছিল কেন্দ্র সরকার, তখন দারিদ্রতার মধ্যে থাকলেও চারজন নিরাপত্তারক্ষীকে অতিকষ্টে নিজেই রেধে বেড়ে খাওয়াচ্ছেন চন্দনা বাউরি। এমনকি তাঁদের থাকার জন্য প্রতিবেশীর নির্মীয়মান বাড়িতে নিজের বাড়ির থেকে দরজা জানলা খুলেও লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
এসবের মধ্যে তাঁর কাছে খবর আসে তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিশিণ্ডা গ্রামে কিছুদিন আগেই বাবা মাকে হারিয়ে বর্তমানে অনাথ পরিচিয়ে রয়েছেন চার ভাইবোন। কোনরকমে একটি ঝুপড়িতে অর্ধেক দিন না খেয়েই অনাহারে কাটছে তাঁদের।
দারিদ্রের জ্বালা বোঝেন চন্দনা বাউরি। নিজেও অত্যন্ত দারিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করেই বিধায়ক হয়েছেন। খবর পাওয়া মাত্রই সেখানে ছুঁটে গেলেন তিনি। কিছু খাবার, মাস্ক, স্যানেটাইজার এবং চারজনের জন্য জামা-কাপড় নিয়ে সেখানে পৌঁছলেন তিনি। নিজের হাতে তাঁদের মাস্ক পরিয়েও দিলেন।
এবিষয়ে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরি জানান, ‘নিজের কেন্দ্রের সকল মানুষকে করোনা পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে বলেছি। আর আমি এই ৪ অসহায় নাবালকের পাশে আছি। বিডিও সাহেবকে বলব এদের রেশন কার্ডের ব্যবস্থা করার জন্য’।