বাংলাহান্ট ডেস্কঃ শনিবার বিজাপুরে মাওবাদী দমন অভিযানে গিয়ে অপহৃত সিআরপিএফ জওয়ান রাকেশ্বর সিং মানহসকে (Rakeshwar Singh Manhas) পাঁচ দিন বৃহস্পতিবারই মুক্তি দিল মাওবাদীরা। সমাজকর্মী ধর্মপাল সাইনি, গোন্দওয়ানা সম্প্রদায়ের প্রধান গেলাম বোরাইয়া এবং স্থানীয় গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতেই ওই অপহৃত জওয়ানকে মুক্তি দেয় মাওবাদীরা৷ তবে নকশালরা তাঁকে যেভাবে দড়ি দিয়ে বেঁধে এনেছিল, তাতে মনে হচ্ছিল রাকেশ্বরকে ভারতে নয়, শত্রু দেশে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে মত অনেকেরই।
মাও অভিযানে গিয়ে অপহৃত হওয়ার দু’দিন পর রাকেশ্বরের একটি ছবি স্থানীয় সাংবাদিকদের হোয়াটসঅ্যাপে পাঠানো হয়৷ সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল, রাকেশ্বরকে একটি তাঁবুর মধ্যে রাখা হয়েছে৷ তারপর পুলিশ অধিকারিকরা অনুমান করে ছিলেন, যেহেতু মাওবাদীরা নিজেরাই ওই জওয়ানের ছবি প্রকাশ করে দাবি করেছিল যে তিনি তাদের হেফাজতেই রয়েছেন, তাই মাওবাদীরা ওই জওয়ানের কোনও ক্ষতি করবে, এমন সম্ভাবনা কম ছিল৷
তবে এত সহজে কেন ছেড়ে দিল মাওবাদীরা! এই প্রশ্ন ঘুরছে সর্বত্র। জানা যাচ্ছে, মূলত দুটি কারণে মাওবাদীরা অপহৃত জাওয়ানকে অতি সহজেই মুক্তি দিল।
প্রথমটি হল, মাও অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২২ জওয়ান শহিদ হয়েছেন। তা থেকে দেশবাসীর মনে যে ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে, তা আন্দাজ করতে পেরেছিল নকশালরা। এমনকি ২২ জওয়ানের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পর ভারত সরকারও যে চুপ করে বসে থাকবে না, বরং প্রতিটি মৃত্যুর হিসাব নেবে, তা অচিরেই বুঝতে পেরেছিল নকশালরা (Naxal)। আর তাই তো নিয়মিত সরকারকে বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়েছে রেকশ্বর নিরাপদে আছেন।
নকশালরা রাকেশ্বরের মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রথমে একটি স্থানীয় সাংবাদিকের মাধ্যমে বার্তা দেয়, তারা সরকারের সাথে কথা বলতে চায়। সেখানেই উঠে আসছে দ্বিতীয় কারণটি, মাওবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে যদি রাকেশ্বরকে আটকে রাখে তাহলে, তারা ভেবেছিল ভারত সরকার তাদের বিরুদ্ধে বড়সড় পদক্ষেপ নেবে। আর তাতে স্থানীয় মানুষও সাহায্য করবে। কারণ তারা জওয়ানকে অপহরণ করার ফলে নিজেদের ভাবমূর্তি খারাপ হতে দেখছিল। তাই স্থানীয়দের ভরসা হারানোর কথা ভেবেই সাংবাদিক, স্থানীয় মানুষ এবং সমাজকর্মীদের সামনে রাকেশ্বরকে মুক্তি দেয়।
উল্লেখ্য, ৪০ বছর বয়সী মাওনেতা হিদমার (Hidma) খোঁজে তল্লাসি অভিযানে নেমে , মাওবাদীদের ফেলা টোপে পা দেয়,CRPF-র বিশেষ কোবরা বাহিনী।