বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চীনের বিস্তারবাদি নীতি নেপালে (Nepal) একটি বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে যাচ্ছে। কারণ নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli) এই নিয়ে কোন আপত্তি দেখাচ্ছেন না, আর না কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন। ওনার চুপ থাকার কারণে ধীরে ধীরে নেপালকে গ্রাস করছে ড্রাগন। নেপালের কৃষি মন্ত্রালয়ের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, চীন সাতটি সীমান্তবর্তী জেলার অনেক জায়গায় নেপালের জমিতে অবৈধ ভাবে কবজা জমিয়ে বসে আছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, বেজিং দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসছে আর বেশি করে নেপালের জমি দখল করছে।
নেপালের দোলখা, গোরখা, দার্চুলা, হুমলা, সিধুপালচৌক, সঙ্খুআসভা আর রসুবা জেলা চীনের বিস্তারবাদি নীতির শিকার হয়েছে। নেপালের সমীক্ষা আর মানচিত্র বিভাগ অনুযায়ী, চীন দোলখার আন্তর্জাতিক সীমান্তে দেড় কিমি পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে। চীন নেপালের কোরলাং এলাকার পিলার সংখ্যা ৫৭ ও অতিক্রম করেছে। উল্লেখ্য, এটা সেই এলাকা যেটা নিয়ে দুই দশক ধরে দুই দেশের মধ্যে বিবাদ চলছে।
বিফাগ জানিয়েছে যে, চীন গোরখা আর দার্চুলা জেলার নেপালি গ্রাম গুলোতে কবজা করা নিয়েছে। চীন গোরখা জেলার সীমান্তে পিলার নং ৩৫, ৩৭ আর ৩৮ নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরিয়ে অন্যত্র লাগিয়েছে। আরেকদিকে নাম্পার ৬২ নম্বর পিলারের জমিও দখল করে নিয়েছে চীন।
চীন ২০১৭ সালে এই গ্রাম পুরো দখল করার সাথে সাথে এই এলাকাকে তিব্বতের সাথে জুড়ে দিয়েছিল। যদিও, এখনো পর্যন্ত এই গ্রামকে নেপালের মানচিত্রেই দেখানো হয় আর স্থানীয়রা এখনো নিজেদের নেপালি বলেই পরিচয় দেয়। মানবাধিকার আয়োগের রিপোর্ট অনুযায়ী, একই ভাবে দার্চুলার জিউপিউ গ্রামের একটি অংশ চীন নিজেদের দখলে করে নিয়েছে। ভারত বিরোধিতায় মত্ত নেপালের প্রধানমন্ত্রী চীনের অতিক্রমণ নিয়ে এখনো মুখ খোলেন নি। আর ওনার এই নীরবতা নেপালের মানুষদের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনছে।