শান্তিনিকেতনে শিশু খুনে অভিযুক্তর দাদা অনুব্রতর গাড়ির চালক! বিস্ফোরক দাবি বিজেপির

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শান্তিনিকেতনে শিশু খুন মামলায় (Child Murder in Shantiniketan) প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত রুবি বিবির দাদা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) গাড়ি চালাতেন। আর এর জেরেই গোটা বিষয়কে লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে রাজ্যের পুলিস। গোটা ঘটনাই একরকম নিয়ন্ত্রণ করছে তৃণমূল। নিহত শিবম ঠাকুরের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে আজ বুধবার দুপুরে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। এর পরই শান্তিনিকেতন থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন তিনি। এখান থেকে বিস্ফোরক দাবি করেন লকেট।

এদিন লকেট বলেন, ‘যে মেয়েটা এই জঘন্য কাজ করেছে তার দাদা কেষ্টর গাড়ির ড্রাইভার। তাই পুলিস গোটা ঘটনা লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। তৃণমূলই পরিচালনা করছে গোটা ঘটনাক্রম।’ তিনি বলেন, ‘আমি যখন ওখানে গিয়েছিলাম তখন চারজন মাত্র পুলিশকর্মী ছিল। তৃণমূল ওখানে বাইরে থেকে লোক এনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। তাদের না আটকে পুলিস আমাকে পিছিয়ে যেতে বলল। আর থানায় আমাকে আটকানোর জন্য কত পুলিসকর্মী মোতায়েন হয়েছে দেখুন একবার।’

প্রসঙ্গত, গত রবিবার সকালে বাড়ির কাছের দোকান থেকে বিস্কুট কিনতে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় শান্তিনিকেতনের মোড়ডাঙার বাসিন্দা শুভম ঠাকুর নামে পাঁচ বছরের একটি শিশু৷ খোঁজাখুজি করেও তাঁকে না পেয়ে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার৷ কিন্তু পুলিশ কুকুর এনে তল্লাশি চালিয়েও শিশুটির খোঁজ পায়নি পুলিশ৷

শেষ পর্যন্ত গতকাল সকালে শুভমদের প্রতিবেশী রুবি খাতুন নামে এক মহিলার বাড়ির ছাদে ত্রিপল চাপা দেওয়া অবস্থায় শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা৷ অভিযুক্তের বাড়ি ঘিরে ফেলে ভাঙচুর শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ বাড়িতে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহটি উদ্ধার করে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ৷ পাশাপাশি অভিযুক্ত মহিলাকেও গ্রেফতার করা হয়৷ যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করতে থাকেন, অভিযুক্তকে তাঁদের হাতে তুলে দিতে হবে৷


Sudipto

সম্পর্কিত খবর