বাংলাহান্ট ডেস্ক: টেলিভিশন বা বড়পর্দায় এক একটি এমন চরিত্র আসে যা চিরকালের জন্য দর্শকদের মনে গেঁথে যায়। সে চরিত্র যতই পুরনো হোক, মানুষের মনে তার রেশ থেকে যায় আজীবন। ‘দয়া’ (daya) এমনি একটি চরিত্র। টেলিভিশন শো ‘সিআইডি’র (CID) দৌলতে জনপ্রিয়তার চূড়ায় পৌঁছেছিল এই চরিত্রটি। এসিপি প্রদ্যুম্ন, ইনস্পেক্টর অভিজিৎ বা ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ডক্টর সালুঙ্খে, নিজস্ব অভিনয় দক্ষতায় প্রতিটি চরিত্রই জনপ্রিয়তা পেলেও দয়ার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেনি কেউই।
কিন্তু যে শো, যে অভিনয় তাঁকে তারকা বানাল সেই অভিনয়েই নাকি আসতে চাননি দয়া! হ্যাঁ, বাস্তবেও অভিনেতার নাম দয়ানন্দ শেট্টি (dayanand shetty)। বন্ধুবান্ধবরা নাকি তাঁকে দয়া বলেই ডাকতেন। একবার এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে নিজের সফরের অজানা কাহিনি তুলে ধরেছিলেন দয়া।
অভিনয় জগতে আসতে চাননি দয়া, এমনকি এই চরিত্রটিও নাকি করতে চাননি। কোনোদিন অভিনয়ে আসার কথা ভাবেননি তিনি। পারিবারিক প্রথা অনুযায়ী হোটেল ব্যবসাতেই ঢোকার কথা ছিল তাঁর। অভিনয়টা শখ করে করতেন। প্রশংসা পেয়েই থিয়েটারে যোগ দেন দয়া। সেখান থেকে টেলিভিশন, তারপর বড়পর্দা।
বাস্তবের দয়া জানান, অডিশনের সময় তাঁদের জানানো হয়েছিল সিআইডি শোটি খুব বেশি হলে এক কী দু বছর চলবে। কিন্তু তা চলল টানা ২১ বছর ধরে! হিন্দি টেলিভিশন জগতে নিঃসন্দেহে একটা বড় মাইলফলক। আর এই সাফল্যের জন্য দর্শকদেরই ধন্যবাদ জানান দয়া।
অভিনেতা জানান, প্রথমে ঠিক হয়েছিল এসিপি প্রদ্যুম্ন এবং ইনস্পেক্টর বীরেনই এই শোয়ের মূল আকর্ষণ হবেন। তাঁদের সঙ্গী হিসেবে নেওয়া হয়েছিল দয়াদের। তবে ধীরে ধীরে নিজেদের চরিত্রে ঢুকতে পেরেছিলেন তাঁরা। দরজা ভাঙার মতো একটা ‘ছোট্ট’ কাজ করেও যে এতটা জনপ্রিয়তা পাওয়া যায় তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি দয়া। তিনি মজা করে জানান, এখন কারোর বাড়ি গিয়ে কলিং বেল বাজালেও তাঁকে বলা হয় ‘দয়া দরওয়াজা তোড় দো’!