বাংলা হান্ট ডেস্ক : অসমে নাগরিক পঞ্জি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করতে একেবারে উঠে পড়ে লেগেছে মোদি সরকার। যদিও এখনও অবধি তা সম্ভব হয়নি তবে সোমবার থেকে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন শুরু হয়েছে। আর এই অধিবেশনেই নতুন করে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল পাশ করানো নিয়ে নয়া পদক্ষেপ নিয়েছে মোদী সরকার। বিল পাশ করতে একেবারে মরিয়া মোদী সরকার।
যদিও বিজেপি নেতা মুকুল রায় আগে থেকেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল চালু করা নিয়ে ইঙ্গিত প্রকাশ করেছিলেন। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলেই কারা নাগরিকত্ব পাবেন কারা পাবেন না জেনে নিন কয়েকটি তথ্য-
1. নাগরিকত্ব সংশোধন আইন 1955 অনুযায়ী আফগানিস্তান বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে এ দেশে আসা হিন্দু শিখ বৌদ্ধ জৈন পার্সি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দিতে হবে।
2. মুসলিম ও দূষিত দেশগুলির সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া একমাত্র লক্ষ্য।
3. তবে নাগরিকত্ব পেতে হলে চোদ্দো বছরের মধ্যেই এগারো বছর ভারতে বসবাস করার সার্টিফিকেট জরুরি। কিন্তু সংশোধনী আইনে সময় কমিয়ে ছয় বছরেই আনা হচ্ছে।
4. এই আইন অনুসারে যার বাবা মা ভারতীয় তিনিই ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন।
5. যদি কোনও ব্যক্তি ভিসা বা পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করে দীর্ঘদিন ধরে এ দেশে বসবাস করে থাকেন তা হলেও নাগরিকত্ব পাবেন।
6. 2014 সালের ডিসেম্বরের আগে আফগানিস্তান বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে আসা হিন্দু শিখ বৌদ্ধ জৈন পার্সি এবং খ্রিস্টানরা ছাড় পাবেন, তাই বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই তারা যদি ভারতের বাসিন্দা হয়ে থাকেন তা হলে জেলে পাঠানো হবে না কিংবা নিজেদের দেশে পাঠানো হবে না।
7. 2016 সালে নাগরিকত্ব বিল অনুযায়ী এই সব ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যাবে।
যদিও নাগরিকত্ব বিল নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি কারণ যেহেতু মুসলিমদের এই নাগরিকত্ব দেওয়ার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তা নিয়েই যত সমস্যার সূত্রপাত। বিরোধীদের দাবি সমস্ত ধর্মকে সমতার অধিকার দিতে হবে।