‘সংখ্যালঘুরা তাড়াতাড়ি উত্তেজিত হয়ে যায়, তারপর…’, প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে একি বললেন মমতা?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট (Loksabha Vote)। তার আগে এখন থেকেই জোর কদমে তোড়জোড়ে নেমে পড়েছে সকল রাজনৈতিক দল। সেই পথেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। লোকসভা ভোটের আগে যে বাংলা সহ গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্ত ভাবে সাম্প্রদায়িক হিংসা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা চলতে পারে সেই নিয়ে বারংবার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর গতকালও এই প্রসঙ্গ উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে।

সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ইমাম, মোয়াজ্জেমদের সম্মেলন ছিল। সোমবার ‘অল ইন্ডিয়া ইমাম মোয়াজ্জেম স্যোশাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন’-এর তরফে রাজ্যের সমস্ত ইমাম সংগঠনগুলির সমাবেশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই নিজের উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঠিক কী বললেন মাননীয়া? মমতা বলেন, “আমি দেখেছি সংখ্যালঘু (Minority) ভাইবোনরা তাড়াতাড়ি উত্তেজিত হয়ে যায়। আরে বোকামো কোরো না। ওটাই তো ওদের টার্গেট!” মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়ে, তোমাদের মেরে দিয়ে চলে যাবে। তার পর কেউ কেউ বলবে, এই দেখো সংখ্যালঘুরা হল সন্ত্রাসবাদী। তার পর এনআইএ ডেকে নেবে। জেলে পাঠিয়ে দেবে।”

আরও পড়ুন: শিরোনামে ‘সেই’ চিঠি! কুন্তলকে নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠালেন বিচারক, তারপরেই ‘বড়’ নির্দেশ

অর্থাৎ সংখ্যালঘু ভাইবোনেদের সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলতে চাইলেন ভোটের আগে নানাভাবে গেরুয়া শিবির থেকে উস্কানি দেওয়া হতে পারে। কিন্তু তারা যেন নিজেরদের বুদ্ধি দিয়ে পরিস্থিতি বিচারক করে। উত্তেজিত না হয়।

mamata

আরও পড়ুন: TET পাশদের জন্য সুখবর! ‘এই’ সময় থেকে শুরু হচ্ছে নিয়োগ, জানিয়ে দিলেন পর্ষদ সভাপতি

তাই আগেভাগে সংখ্যালঘুদের সতর্ক করে দিয়ে তাদের সংযত থাকার পরামর্শ দিলেন মমতা। যাতে অহেতুক কেউ অশান্তিতে জড়িয়ে না পড়েন, প্ররোচনার ফাঁদে পা না দেয় সেই বিষয়ে ইমাম-মোয়াজ্জেমদের সতর্ক থাকার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।

গেরুয়া শিবিরকে একহাত নিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “হিন্দুরা দাঙ্গা চায় না। মুসলমানরাও দাঙ্গা চায় না। আসলে বিজেপি দাঙ্গা লাগাতে চায়।” তাই সকলকে সতর্ক থাকার, চোখ-কান খোলা রাখার পরামর্শ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর