ডবল চাপ! বকেয়া DA মামলায় আরও অস্বস্তিতে রাজ্য সরকার, নজর সুপ্রিম কোর্টে

Published on:

Published on:

dearness allowance(4)

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারাধীন রয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতে ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ অগস্ট। বর্তমানে সরকারি কর্মীরা তাকিয়ে রয়েছেন সেই অগাস্ট মাসের দিকে। তবে এরই মধ্যে সামনে আসছে নয়া আপডেট। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দুটি মামলা দায়ের হয়েছে।

ডিএ ইস্যুতে জোড়া আদালত অবমাননার মামলা | Dearness Allowance

সুপ্রিম কোর্ট বকেয়া ডিএ-র ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিলেও তা ‘অমান্য’ করেছে রাজ্য সরকার। এই নিয়েই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুটি প্রধান কর্মচারী সংগঠন আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্টে।

প্রথম মামলাটি দায়ের করেছে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ। এবং দ্বিতীয়টি সরকারি কর্মচারী পরিষদ করেছে। কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ গত ২রা জুলাই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করে। তবে, সেখানে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পান্থের নামের বানানে ভুল থাকায় তা সংশোধনের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে।

সরকারি কর্মচারী পরিষদ গত ২১শে জুলাই বকেয়া ডিএ ইস্যুতে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পান্থের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে। গত ১৬ই মে, ২০২৫-এ সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ২৫% মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশ মেনে ডিএ না মেটানোয় কর্মচারী সংগঠনগুলি আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করে।

রাজ্য সরকার ডিএ দেয়নি, উল্টে সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদনেই ডিএ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রিম নির্দেশ কার্যকর করতে আরও ছয় মাস সময় দরকার বলেও জানানো হয়েছে।  রাজ্যের যুক্তি, বকেয়া ডিএ মেটাতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, চলতি অর্থবর্ষে সেই বাজেট বরাদ্দ নেই।

আরও পড়ুন: পার্থের আসনে শ্রাবন্তী? শহিদ দিবসের মঞ্চে অভিনেত্রীকে গুরুত্ব দিতেই শুরু রাজনৈতিক জল্পনা

আদালতে রাজ্যের তরফে আবেদন করা হয়, যেহেতু নির্দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করা হচ্ছে, সেই কারণে প্রদেয় অর্থ আদালতের কাছে জমা রাখা হোক। কারণ একবার কর্মচারীদের এই অর্থ দিয়ে দেওয়া হলে পরবর্তী সময়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রাজ্যের পক্ষে গেলেও টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। রাজ্যের এই পদক্ষেপের পর পাল্টা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করা হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। সেই মামলা এবার কোন মোড় নেয় সেটাই দেখার।