বাংলাহান্ট ডেস্ক : পূজার আগেই সুখবরটা দিয়েছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। আজ বৃহস্পতিবারই খুলে যাচ্ছে টালা ব্রিজ (Tala Bridge)। প্রায় আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর অবশেষে মুক্তি। এই দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে বসেছিল উত্তর কলকাতার মানুষ। পূজার মুখে এই ব্রিজ খুলে যাওয়ায় শহরের যানজটে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলেই মনে করছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিস দফতর। বৃহস্পতিবার এই ১ কিলোমিটার লম্বা ব্রিজের উদ্বোধন করছেন স্বয়ং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, এদিনই বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয়রা। পুনর্বাসনের দাবিতেই এলাকাবাসীর একাংশ এই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।
যাঁরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ মানুষই দীর্ঘদিন ধরে টালা ব্রিজের নীচে অস্থায়ীভাবে বসবাস করতেন। কিন্তু, ব্রিজের পুর্নির্মানের সময় তাঁদের তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের দাবি, তুলে দেওয়ার সময় সরকার তাঁদের নতুন বাসস্থান দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেয়। কিন্তু ব্রিজের সম্পূর্ণ হলেও কথা রাখেনি রাজ্য সরকার।
এ প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন রেল জমি দিচ্ছে না। সে কারণেই নাকি তাঁদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া আটকে আছে। যদিও এ প্রসঙ্গে এক বিক্ষোভকারী মহিলা বলেন, ‘আমরা ওসব জানিনা। এলাকার কাউন্সিলর আমাদের তুলেছিলেন। ওনার কাজ আমাদের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করা।’
আর এক বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা পুনর্বাসন চাই। মাথার উপর পাকা ছাদ চাই। আমরা টালা ব্রিজের নিচে ছিলাম। আমাদের ওখান থেকে তুলে দেওয়ার সময় পুনর্বাসনের কথা বলেছিল। তরুণ সাহা বলেছিলেন।’ আর এক বিক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীকে বলেন, ‘হঠাৎ করে একদিন এখানকার কাউন্সিলর তরুণ সাহা আমাদের বের করে দিলেন। বললেন ব্রিজ ভাঙা হবে। তিন মাসের মধ্যে আপনাদের নতুন বাড়ি দিয়ে দেব। আমরা হাইকোর্টেও যাই। সেখানে মামলাও জিতি।’ আজ বিকেলেই নবনির্মিত এই টাকা ব্রিজের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে এই বিক্ষোভ কিভাবে সামাল দেবে তা বুঝে উঠতে পারছে না প্রশাসন। আজ বিকেলে জল কোন দিকে গড়ায় সে দিকেই নজর থাকবে সকলের।