বাংলা হান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) কানপুর (Kanpur) জেলায় এক মুসলিম যুবকের ধর্ম পরিবর্তনের খবর সামনে আসছে। জানা যাচ্ছে ওই যুবকের নাম ছিল রহমত আলী। ধর্ম পরিবর্তনের পর তাঁর নতুন নাম হয়েছে ঋত্বিক শর্মা। জানা যাচ্ছে, বজরংবলীর মন্দিরে হিন্দু আচার অনুষ্ঠান মেনেই তার ধর্মান্তর সম্পূর্ণ হয়।
ধর্মান্তর হওয়ার পর তিনি গঙ্গাজল ছড়িয়ে দেন চারিদিকে। শিবলিঙ্গের উপর গঙ্গাজলও ঢালেন তিনি। এরপর বজরং বলীর মূর্তি ছুঁয়ে প্রণামও করেন তিনি। হিন্দু ধর্ম গ্রহণের পর তাঁর নতুন নাম হয় ঋত্বিক শর্মা। ধর্ম পরিবর্তনের কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন তাঁর অধিকাংশ বন্ধুই হিন্দু।
এই প্রথম নয়। এর আগেও বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে ধর্মান্তকরণের ঘটনা ঘটে। কয়েক মাস আগেই হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন মুসলিম পরিবারের ৯ সদস্য। এদের মধ্যে ৭ জন মহিলা ও ২ জন পুরুষ। সম্পর্কে এরা ভাই-বোন হন। মুজফরনগরের সাহারানপুরে যশবীর আশ্রমে ধর্ম পরিবর্তন করেন তাঁরা। ছিলেন আশ্রমের মোহন্ত স্বামী যশবীর মহারাজ। শুধু ধর্ম পরিবর্তনই নয়, সেই সঙ্গে নিজেদের নামও বদলে ফেলেন তাঁরা।
বিগত কয়েক মাস ধরে দিল্লি ও দক্ষিণ ভারত থেকে গণহারে হিন্দু ধর্ম ছেড়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণের খবর এসেছিল। এবার তার উলটো ঘটনা দেখা গেল যোগী রাজ্যে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। প্রতিক্রিয়া দিয়েছে সদ্য হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করা ওই পরিবারের সদস্যরাও।
ধর্ম পরিবর্তন করতে মুজফরনগরের সাহারানপুরের বাগরায় যশবীর আশ্রমের সঙ্গে যোগযোগ করে ওই পরিবার। সেই মতো আশ্রমের যোগ সাধনা কেন্দ্রে যজ্ঞের আয়োজন করা হয়। আচার্য মৃগেন্দ্র ব্রহ্মচারী সবাইকে গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে শুদ্ধ করেন। তাঁদের গলায় স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা বিশেষ মালা পরানো হয়েছিল। পরে ভক্ত ভরে বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করেন ওই মুসলিম পরিবারের সদস্যরা। যজ্ঞ শেষে ধর্ম পরিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে বলে আশ্রমের তরফে জানানো হয়।