কেন ED দফতরে হাজিরা দিতে এলি রুবাই? চোখে জল নিয়ে মেয়েকে প্রশ্ন অনুব্রতর

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পেরিয়ে গিয়েছে বহু মাস! গত বছর থেকে গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) জেলবন্দি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বাংলার সীমানা পেরিয়ে বর্তমানে তিহাড় জেলে (Tihar Jail) ঠাঁই হয়েছে কেষ্টর। অন্যদিকে সম্প্রতি ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও (Sukanya Mondal)। তিনিও রয়েছেন সেই তিহাড়েই। একই জেলে থাকা সত্ত্বেও দূরত্ব অনেক।তবে বহু টানাপোড়েনের পর শনিবার অবশেষে দেখা হল অনুব্রত-সুকন্যার।

গ্রেফতারির পর থেকে নিয়ে এতদিন পর্যন্ত বাবা-মেয়ের সাক্ষাৎ হয়নি। দুজনাই দেখা করতে চাইলেও মেলেনি সুযোগ। তবে শনিবার সাক্ষাৎ হল। সূত্রের খবর, খুবই স্বল্প সময়ের জন্য দেখা হয় তাদের। হয়েছে কথাও। এদিন পরস্পরকে দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন বাবা ও মেয়ে। চোখের কোণে জল। মেয়েকে দেখেই অনুব্রতর প্রশ্ন, “কেন ইডির দফতরে হাজিরা দিতে এলি রুবাই?”

পরে বাবাকে সবটা বুঝিয়ে বলেন সুকন্যা। আইনি লড়াইয়ের বিষয়েও কিছুক্ষন কথা হয় তাদের। দুজনই দুজনের শরীরের খেয়াল রাখতে বলেন। তাদের দুজনার সাক্ষাতের সময় ঘরে কারারক্ষীরা ছাড়া আর কেউ উপস্থিত ছিলেন না। প্রসঙ্গত, শনিবারই জানা যায় মেয়ে সুকন্যার সাথে দেখা হবে অনুব্রতর। কেষ্টও সেকথা জানিয়ে বলেন, ‘শনিবার দেখা করব। ও তো আমার মেয়ে। একশোবার দেখা করব।’

anubrata sukanya

এরপর নিয়ম মেনেই শনিবার বিকেলে জেলের অন্দরেই দেখা হল দুজনার। গোয়েন্দা সংস্থার হাতে মেয়ের গ্রেফতারির পর প্রথমে চুপ করে থাকলেও পরে মুখ খোলেন অনুব্রত। ইডির বিরুদ্ধে আদালতে ক্ষোভ উগরে দেন কেষ্ট। বলেন, মেয়েকে গ্রেফতার করে কোনও ‘বাহাদুরির’ কাজ করা হয়নি। পাশাপাশি অফিসারদের প্রশ্ন ছুঁড়ে কেষ্ট বলেন, ‘মেয়েকে অ্যারেস্ট করে নিলেন? বিবেক বলে তো কিছু আছে নাকি?’

মেয়ের গ্রেফতারির পর ‘ভালো নেই’ বলেও আদালতে মন্তব্য করেছিলেন অনুব্রত। অন্যদিকে সুকন্যাও বাবার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। তবে শেষমেষ বহুদিন পর শনিবার সাক্ষাৎ হল বাবা-মেয়ের।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর