বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট যেতেই আবারও তৃণমূলের পাশে দাঁড়াল সিপিএম। এবার দলত্যাগীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নিয়ে শাসক দলের পাশে বামেরা। তৃণমূল সাংসদ সুনীল মণ্ডল আর শিশির অধিকারীর সদস্যপদ খারিজের দাবি তুলে লোকসভার স্পিকারকে দেওয়া চিঠি ন্যায়সঙ্গত মনে করছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। তবে তিনি বিধানসভায় তৃণমূল এই পদক্ষেপ নেবে কি না, সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
সুজনবাবু দাবি করেছেন, গত বিধানসভায় এক দলত্যাগী বিধায়কের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্পিকারকে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। কিন্তু ২৩ বার শুনানির পরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
২০১৬-র নির্বাচনের পর বাম-কংগ্রেস জোটের একাধিক বিধায়ক শাসকদল এবং বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। তৎকালীন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং সুজন চক্রবর্তী একাধিকবার বিধানসভার স্পিকারের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এমনকি ওনারা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও চিঠি লিখে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কিছুতেই কাজ হয়নি। সুজনবাবু কটাক্ষ করে বলেছেন যে, তৃণমূল ও বিজেপি একই গোয়ালের গরু। এঁরা দুজনেই সংবিধানের ধ্বংসকারী।
উল্লেখ্য, এই প্রথম না যে বামেরা বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের পাশে দাঁড়াল। এর আগেও বহুবার তাঁরা বিজেপিকে প্রতিহত করতে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি নারদা মামলায় চার অভিযুক্তের গ্রেফতারিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত আখ্যা দিয়ে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছিল বামেরা।