বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নির্ভীক, সৎ, সাহসী পুলিশ অসারের এক অন্যতম দৃষ্টান্ত হলেন কর্ণাটক ক্যাডারের ২০০০ ব্যাচের আইপিএস অফিসার ডি রূপা (D Rupa)। উল্লেখ্য ডি রূপাই হলেন দেশের প্রথম মহিলা পুলিশ কর্মকর্তা, যাকে ২০১৩ সালে পুলিশ বিভাগে সাইবার অপরাধের দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাঁর সাহসিকতা অসংখ্য মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা। তাঁর কাজের জন্য তিনি তাঁর কর্মজগতে একজন কঠোর পুলিশ অফিসার হিসেবে পরিচিত। তাঁর ব্যাক্তিত্বের দ্যুতি এতটাই প্রখর যে অপরাধীরা তাঁর নাম শুনেই ভয়ে কাঁপতে থাকে।
ডি রুপা আদতে কর্ণাটকের দেবনাগেরের বাসিন্দা। তাঁর পিতা জেএস দিবাকর পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন। ডি রূপা কুভেম্পু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন এবং স্বর্ণপদক লাভ করেন। এরপর তিনি ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে মাস্টার্স করেন। এরপরতিনি নেট-জেআরএফ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং ইউপিএসসি-র প্রস্তুতিতেও ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এরপর মাত্র ২৪ বছর বয়সে ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং সর্বভারতীয় স্তরে ৪৩ তম স্থান অর্জন করেন। সেসময় তাঁর কাছে আইএএস হওয়ার সুযোগ থাকলেও তা ছেড়ে দিয়ে তিনি পুলিশের চাকরিই বেছে নিয়েছিলেন, কারণ আইপিএস অফিসার হওয়াই ছিল তাঁর একমাত্র স্বপ্ন।
হোম গার্ডে অতিরিক্ত কমান্ড্যান্ট থেকে শুরু করে সিভিল ডিফেন্সের অতিরিক্ত জেনারেল হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এছাড়াও ট্রাফিক এবং সড়ক নিরাপত্তা বিভাগে কমিশনার এবং কর্ণাটক জেল বিভাগের উপ -মহাপরিদর্শকের পদের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
তিনি তাঁর গোটা কর্মজীবনে একাধিক বার নানান সাহসিকতার পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য শিরোনামে এসেছেন। ২০০৪ সালে, ১০ বছরের পুরনো একটি মামলায় মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী উমা ভারতীর (Uma Bharti) বিরুদ্ধে অ-জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করে গ্রেফতার করেছিলেন ডি রূপা। এছাড়াও ২০১৭ সালে, জয়ললিতার দল AIADMK নেতা ভি কে শশিকলার (V.K Sashikala) বিরুদ্ধে জেল দুর্নীতির ভিডিও ফুটেজ ফাঁস করে ফের একবার লাইমলাইটে আসেন তিনি।এরপর তাঁকে কারা বিভাগ থেকে বদলি করে দেওয়া হয় বেঙ্গালুরুর ট্রাফিক বিভাগে। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে এই ‘লেডি কপ’ ডি রূপাকেই রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।
তব আইপিএস অফিসার হওয়া ছাড়াও আরও একাধিক প্রতিভা অধিকারী ডি রূপা। অসাধারণ ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী হওয়ার পাশাপাশি তিনি ভারতীয় সঙ্গীতের প্রশিক্ষণও নিয়েছেন। এমনকি তিনি কন্নড় চলচ্চিত্র বায়ালতাদা ভীমান্না -তে প্লেব্যাকও করেছেন। শুধু তাই নয় তিনি ছিলেন একজন শার্প শুটার এবং শুটিংয়েও অনেক পুরস্কার জিতেছেন তিনি।