বাংলা হান্ট ডেস্ক: সমস্ত অভিভাবকদের কাছে তাঁর সন্তানরাই আসল স্তম্ভ। ছোট থেকেই তাদের সুশিক্ষা দিয়ে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরিতে সচেষ্ট হন সকলেই। সন্তানকে নিরাপদে এবং সুস্থ রাখার জন্য সমস্ত অসাধ্য সাধন করতে রাজি থাকেন তাঁরা।
পাশাপাশি অধিকাংশ সন্তানও চায় তার অভিভাবকদের জন্য কিছু করতে। নিজের কাজের মধ্যে দিয়ে পিতামাতার নাম উজ্জ্বল করতে ছোট থেকেই চেষ্টা শুরু করে তারাও। ঠিক তেমনই এক সন্তানের প্রচেষ্টা আজ গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে। যে ঘটনা শুনলে অবাক হবেন আপনিও!
মুম্বাইয়ের তিলক মেহতার বয়স মাত্র ১৩ বছর। বর্তমানে তার সফলতার গল্প প্রত্যেকের কাছেই এক দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। বাবার কষ্ট দূর করতে এত কম বয়সেই সে তৈরি করে ফেলে নিজের কোম্পানি। আর তাতেই চূড়ান্ত ভাবে সফল হয় এই বালক।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তিলক, প্রতিদিন তার বাবাকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বাড়ি ফিরতে দেখত। বাবাকে প্রতিদিন এই অবস্থায় দেখে খুবই খারাপ লাগত তার। যে কারণে এতটুকু বয়সেই বাবাকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
তারপরেই তিলক পেপারস অ্যান্ড পার্সেল (PNP) নামে একটি লজিস্টিক কোম্পানি শুরু করে। যেই বয়সে অন্যান্যরা শুধুমাত্র খেলাধুলা এবং স্কুলে পড়াশোনা করে, সেই বয়সেই তিলক বড় লক্ষ্য স্থির করে কোটি কোটি টাকা উপার্জনের চিন্তা শুরু করে।
এমতাবস্থায়, লজিস্টিক মার্কেটে তাদের শেয়ার ২০% বেড়ে যায় এবং ব্যবসাও বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, এরপর তিলক ঘনশ্যাম পারেখ নামের এক ব্যাঙ্ক অফিসারকে এই স্টার্টআপ শুরু করার বিষয়ে জানানো মাত্রই তিনি চাকরি ছেড়ে তিলকের সাথে যোগ দেন এবং কোম্পানিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসাবে কাজ শুরু করেন।
এখন তিলকের ওই কোম্পানিতে প্রায় ২০০ জন কর্মচারী কাজ করছেন এবং ৩০০ জনেরও বেশি ডাব্বাওয়ালা যোগ দিয়েছেন। ডাব্বাওয়ালাদের সম্পূর্ণ সাহায্যে, তিলকের কোম্পানি দিনে ১২০০ টিরও বেশি পার্সেল সরবরাহ করে। পাশাপাশি, তার কোম্পানি বর্তমানে সর্বাধিক ৩ কেজি পর্যন্ত পার্সেল গ্রহণ করছে। যার চার্জ ৪০ থেকে ১৮০ টাকা পর্যন্ত ধার্য করা হয়েছে।