বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রের দেখানো পথে হাঁটছে একাধিক রাজ্য। সম্প্রতি উৎসবের মধ্যেই সরকারি কর্মীদের ফের এক দফায় ডিএ বৃদ্ধি (Dearness Allowance) করেছে কেন্দ্র সরকার। এতদিন পঞ্চাশ শতাংশ ডিএ পাচ্ছিলেন কেন্দ্রের কর্মীরা। বর্তমানে ফের ৩% বাড়ার মহার্ঘ ভাতা দাঁড়িয়েছে ৫৩ শতাংশ। এদিকে কেন্দ্রের পরই দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সরকারও (State Government) মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করছে। এবার সেই তালিকায় নাম নাম জুড়লো ত্রিপুরার।
কেন্দ্র সরকারের পর এবার রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের জন্য ৫ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা এবং ডিআর বৃদ্ধির ঘোষণা করল ত্রিপুরা সরকার। রাজ্যের আড়াই লক্ষ সরকারি কর্মীদের জন্য বিরাট পদক্ষেপ। জানানো হয়েছে এই বর্ধিত ডিএ ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। উৎসবের মধ্যে সরকারের এই ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই খুশি সরকারি কর্মীরা।
ডিএ বৃদ্ধির বিষয়ে ত্রিপুরার ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান, ‘বর্তমানে আর্থিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি সরকার। তা সত্ত্বেও কর্মীদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাজ্য সরকার ভাতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ সেই সঙ্গেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৫ শতাংশ ডিএ এবং পেনশনভোগীদের ৫ শতাংশ হারে ডিআর বৃদ্ধির কথা জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, এই ডিএ বৃদ্ধির ফলে রাজ্যের কোষাগার থেকে ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হবে। মন্ত্রীর কথায়, ডিএ বৃদ্ধির ফলে রাহজের ১.৬ লক্ষেরও বেশি সরকারি কর্মচারী এবং ৮২ হাজার পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। জানিয়ে রাখি, এতদিন সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ২৫ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বর্তমানে তা আরও ৫ শতাংশ বেড়ে হল ৩০ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ‘সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে..,’ বাংলাহান্টের ক্যামেরায় বিস্ফোরক সঞ্জয় রায়! আর জি কর কাণ্ডে নয়া মোড়?
একদিকে যখন একের পর এক রাজ্য কেন্দ্রের জুতোয় পা গলিয়ে ডিএ বৃদ্ধি করছে তখন বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীরা এখনও বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায়, ১৪% হারে ডিএ পাচ্ছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্টে চলছে বাংলার বকেয়া ডিএ মামলা। কবে সেই মামলার জট খুলবে সেদিকে তাকিয়ে সকলে।