বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীন ছাড়িয়ে করোনা ভাইরাস (COVID-19) বিভিন্ন দেশে তার ভয়ঙ্কর তাণ্ডবলীলা চালাচ্ছে। ক্রমাগত বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানালেন কেন্দ্রের কাছে। লকডাইন জারী থাকলেও বেশ কিছু জায়গায় মানুষজন কোন নিয়মই মানছেন না। পড়ছেন না মাস্ক, এবং রক্ষা করছেন না সামাজিক দূরত্ব। আবাধ বেরিয়ে পড়ছে রাস্তায়। প্রয়োজন ছাড়াই বারংবার মাস্ক পরিধান না করেই বাজারে ছুটছেন।
এবার এই জনগণের মাস্ক পড়া নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাইরে বেরোলে মাস্ক পড়তেই হবে, সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি। ভারতের মতো এরাজ্যেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে জারী করা হয়েছে লকডাউন। কেন্দ্রের লকডাউনের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন বাড়ানোর আর্জি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা মোকাবিলা করতে লকডাউনই একমাত্র পথ।
কিন্তু লকডাউনের মধ্যেও রাজ্যের একাংশ মানুষ কোন নিয়ম নিধি না মেনেই বেরিয়ে পড়ছেন বাইরে। অবাধ যাতায়াত করছেন বাজারে। তাঁদের কারো মুখে মাস্ক নেই, আবার কেউ কেউ তো সামাজিক দূরত্বও মানছেন না। তাই তাঁদের উদ্যেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার নবান্নের তরফে রাজ্যবাসীর উদ্যেশ্যে ঘোষণা করলেন, এবার থেকে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক। বাড়ি থেকে বাইরে বেরোলেই পড়তে হবে মাস্ক। এবং ঘরে ফিরে ব্যবহার করতে হবে হ্যান্ড স্যানেটাইজার।
এর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কিছু জায়গা হটস্পট হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রয়োজনে এইসব জায়গা সিলও করতে পারে সরকার। সিল করা হলে ওইসব অঞ্চলের মানুষজন কেউই বাইরে বেরোতে পারবেন না। এবং সেখানে বাইরে থেকে কেউ প্রবেশও করতে পারবে না। জরুরী প্রয়োজনের জিনিস পৌঁছে দেওয়া হবে নাগরিকদের বাড়িতে। পুলিশ পাহারা বসানো হবে এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে। রাজ্যে এখনও অবধি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃতের সংখ্যা ৭।