বাংলাহান্ট ডেস্ক: ‘রইস’ (Raees) ছবির মানহানির মামলায় আপাতত স্বস্তিতে শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। ২০১৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটির সঙ্গে একাধিক বিতর্ক জড়িয়ে রয়েছে। দুটিতেই আইনি ঝামেলায় ফেঁসেছেন কিং খান। ১০১ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের হয়েছিল তাঁর নামে। সেই মামলায় আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে উচ্চ আদালত।
রইস ছবির গল্প যাকে নিয়ে সেই গ্যাংস্টার আব্দুল লতিফের জীবনকে ঠিক ভাবে দেখানো হয়নি, এমনি অভিযোগ তুলে শাহরুখ সহ ছবি নির্মাতাদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিল লতিফের ছেলে মুস্তাক আহমেদ। ২০১৬ সালে দায়ের করা হয়েছিল মামলাটি।
মানহানির মামলায় নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গুজরাট হাইকোর্টৈর দ্বারস্থ হয়েছিলেন কিং খান। আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত নিম্ন আদালতের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে হাইকোর্ট। তাতেই কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন শাহরুখ।
রইসের পরিচালক রাহুল ঢোলাকিয়া, প্রযোজক ফারহান আখতার এবং অভিনেতা শাহরুখ খানের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল মামলা। মামলাকারী মুস্তাক আহমেদ মারা গিয়েছেন আগেই। তিনিই দাবি করেছিলেন, আব্দুল লতিফকে ঠিক ভাবে দেখানো হয়নি ছবিতে। এর জন্য তাদের গোটা পরিবারের সম্মানহানি হচ্ছে।
যদিও মুস্তাক নিজেই জানিয়েছিলেন, ছবিল চিত্রনাট্য লেখার প্রয়োজনে তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিল রইস টিম। তা সত্ত্বেও মানহানির মামলা দায়ের করেন তিনি। মুস্তাকের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী এবং কন্যারা চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মামলা।
এছাড়া আরো একটি মামলা চলছিল শাহরুখের বিরুদ্ধে। রইস ছবির প্রমোশনে অভিনবত্ব আনতে ট্রেনে চেপে প্রচার সেরেছিলেন বাদশা। তাঁকে এক ঝলক দেখতে কার্যত জনতার ঢল নেমেছিল। পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল যে পুলিস লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়েছিল।
জনতা ছত্রভঙ্গ হলেও শোনা গিয়েছিল এক ব্যক্তি ওই লাঠিচার্জে নিহত হয়েছেন। মৃত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা শাহরুখের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তবে ইতিমধ্যেই সেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন শাহরুখ।