বাংলাহান্ট ডেস্ক : দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় পাথর ছোঁড়া এবং গুলি চালানোর ঘটনার পর তীব্র হিংসা ছড়ায় গোটা এলাকায়। এই ঘটনার পর দিল্লি পুলিশ গ্রেপ্তার করে বেশ কিছু দাঙ্গাকারীকে। তারা প্রত্যেকেই একটি বিশেষ ধর্মের বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। এরপরই জাহাঙ্গীরপুরী এলাকায় অবৈধ নির্মাণ এবং জবরদখল অপসারণের জন্য বুলডোজার চালানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই কাজ শুরু হওয়ার পরপরই তা স্থগিত করার রায় দিল সুপ্রিমকোর্ট।
জাহাঙ্গীরপুরীর জামা মসজিদের একটি দরজাও ভেঙে ফেলা হয় ওই বুলডোজারের সাহায্যে। ভাঙা হয় আশেপাশের একাধিক বাড়ি ও দোকানপাট। যে সমস্ত বাড়ি সরকারি জমির উপর দখল করে ছিল ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেগুলির বিরুদ্ধেও। কিন্তু এরপরই সুপ্রিমকোর্টের রায়ে এই কাজ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।
এই ঘটনায় স্বভাবতই ক্ষোভ ছড়িয়েছে জাহাঙ্গীরপুরী এলাকায়। এই কাজে ক্ষুব্ধ স্থানীয় সংখ্যালঘু শ্রেণীর মানুষ। যাঁদের বাড়ি ভাঙা হয়েছে তার প্রতিবাদে রীতিমতো ক্ষোভ প্রদর্শন করছেন তাঁরা। কবে আবার তৈরি করতে পারবেন সেসব, উত্তর জানা নেই কারওই। তাঁদের অভিযোগ, ‘দূর্বলের সঙ্গে যুদ্ধ না করে শক্তিশালীদের সঙ্গেই যুদ্ধে নামা উচিত সরকারের।’
পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে ওই এলাকার দিকে কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন। অস্থায়ী তাঁবু বানিয়ে সেখান থেকেই সবকিছুর দিকে নজর রাখছেন আধিকারিকরা। অবস্থা সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে র্যাফ এবং সিআরপিএফ। যদিও আধিকারিকদের দাবি, বুলডোজার চালানোর প্রেক্ষিতে কোনও উত্তেজনা হলে তা সামাল দিতেই আগাম সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
#WATCH | Despite SC order to maintain status-quo on demolition drive, NDMC continues anti-encroachment drive in the Jahangirpuri area of Delhi pic.twitter.com/TW07OM2WFE
— ANI (@ANI) April 20, 2022
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এই দাঙ্গায় মূল অভিযুক্ত আনসারের রয়েছে আবর্জনা এবং রদ্দি মালের ব্যবসা। বিএমডব্লু গাড়ি, সোনা এবং সুরায় আসক্ত ওই ব্যক্তির নামে অতীতেও রয়েছে একাধিক মামলা। যার মধ্যে মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ, পুলিশের উপর হামলা, জুয়ার র্যাকেট চালানো, বেআইনি অস্ত্র রাখা ইত্যাদি রয়েছে।