বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময় অনেকেই হেনস্থার সন্মুখিন হয়। কখনো কাগজপত্রে কিছু গলদ থাকার কারণে। আবার কখনো জন্ম এক জায়গায় আর বাসস্থান আরেক জায়গায় থাকার কারণে। দুটি ক্ষেত্রেই নির্ভর করতে হয় থানার DIB এর উপরে। অনেক সময় পাসপোর্টের জন্য ঘুষও দিতে হয়। আর এই কথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন আইনজীবীও বলেছিলেন যে, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের নামে ওনার থেকে ২৫০ টাকা ঘুষ চাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু এবারের কাহিনী সম্পূর্ণ আলাদা। এবার পয়সা না, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য মহিলার সাথে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা ভেরিফিকেশন অফিসারের। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যমগ্রাম থানায়। থানার এক পুলিশ কর্মী পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের নামে মহিলার সাথা দৈহিক সম্পর্ক করতে চাইছিলেন। প্রথমে ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য মধ্যমগ্রাম থানায় যান। মহিলার ভেরিফিকেশন হয়ে গেলেও, কোন কিছু কারণে ওনার স্বামীর ভেরিফিকেশন আটকে যায়।
এরপর ফিরোজ নামের এক পুলিশ কর্মী ওই দম্পতির বাড়িতে যান ভেরিফিকেশনের জন্য। সেখানে গিয়ে পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশনের এক কপি জেরক্স চান। জেরক্স করার জন্য মহিলার স্বামী বাড়ির বাইরে গেলেই, শুরু হয়ে যায় ফিরোজের কারসাজি। মহিলাকে বাড়িতে একা পেয়ে অশালীন অশারা এবং বারবার মহিলাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করেন পুলিশ কর্মী ফিরোজ। মহিলা তাঁর স্বামীর পাসপোর্ট আটকে যাবে বলে কিছু বলার সাহস দেখাননা। এরপর মহিলার স্বামী জেরক্স নিয়ে বাড়ি ফেরেন, আর পুলিশ কর্মী তখন বলেন পরে ফোন করে নেওয়া হবে।
https://www.facebook.com/permalink.php?story_fbid=1425051044337549&id=100004980015589
এখানেও থেমে থাকেননি তিনি। পরে মহিলাকে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করে উত্তক্ত করতে থাকেন ওই অফিসার। মহিলা প্রথমে কিছু না বললেও, পরে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সমস্ত রকম প্রমাণ জড় করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সবার থেকে সাহায্যের আর্তি করেন।