বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালিতে ইডি পেটানোর ঘটনার তদন্তভার এখন সিবিআইয়ের হাতে। আদালতের নির্দেশে এখন তদন্ত করছেন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। এবার তাঁদের হাতে উঠে এল বড় খবর! যে কারণে ফের একবার প্রশ্নের সম্মুখীন রাজ্য পুলিশ। সন্দেশখালি কাণ্ডে (Sandeshkhali Issue) নিরপরাধ মানুষদের গ্রেফতার করেছিল পুলিশ? সূত্রের খবর, সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
গত বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃত ৭জন ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য বসিরহাটা আদালতে আবেদন জানায় সিবিআই (CBI)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি তাঁদের মোবাইল ফোনের লোকেশন খতিয়ে দেখা হয়। সেই সঙ্গেই পারিপার্শ্বিক নানান তথ্যও খুটিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। তখনই নাকি বোঝা যায়, ইডি পেটানোর ঘটনায় পুলিশের (State Police) হাতে ধৃতদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই।
অভিযুক্তদের গলাতেও শোনা যায় একই সুর। ধৃতদের দাবি, ইডির (ED) ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে তাঁরা যুক্ত নন। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এক পঞ্চায়েত প্রধানের কথায় তাঁরা থানায় গিয়েছিলেন। সেখানে যাওয়া মাত্রই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এই বয়ান কতটা ঠিক তা যাচাইয়ের জন্য শনিবার দুই ধৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই।
আরও পড়ুনঃ অর্জুন BJP-তে যোগ দিতেই কর্মীদের দল ছাড়ার হুড়োহুড়ি! পার্থর হাত ধরে সকলে গেলেন তৃণমূলে
গোয়েন্দা সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। আজ রামপুর নিবাসী আরও একজন অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে তদন্তকারীরা কথা বলেছেন। রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃত ব্যক্তিদের দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে সিবিআইয়ের অনুমান আসল দোষীদের আড়াল করার জন্য এমনটা করা হয়েছিল। ন্যাজাট থানার আধিকারিক এবং রাজ্য পুলিশকে প্রভাবিত করেছিলেন শাহজাহান এবং তাঁর শাগরেদরা, মনে করা হচ্ছে এমনটাই।
আসল দোষীদের বাঁচাতে নিরপরাধ মানুষদের গ্রেফতারও করা হয়। রাজ্য পুলিশের হাতে ধৃতদের বয়ানের কারণে ফের একবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এবার ধৃতদের বয়ানকে হাতিয়ার করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তুলতে পারে সিবিআই, মিলেছে এমনই খবর।