বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দ্বিতীয় দফা লকডাউনের ছাড়ের বিষয়ে জানালেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। করোনা ভাইরাসের লড়াইয়ে প্রথম দিকে কেন্দ্র রাজ্য একত্রিত হয়ে লড়ছিল। তবে লকডাউনের মধ্যে ছাড় নিয়ে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে মতো পার্থক্য দেখা দেয়। মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলি ই-কমার্স সংস্থাগুলিকে প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় জিনিসের ক্ষেত্রে ব্যবসা করার অনুমতি দেয়। লকডাউনের ছাড় বিষয়ে রাজ্য সরকারগুলো তাদের ইচ্ছেমতো ছাড় দিতে শুরু করে। সেই কারণে কেন্দ্র এবার এই কাজে হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।
করোনা (COVID-19) পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনে চলবে বিশেষ বিশেষ কিছু ছাড়। জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা শুধুমাত্র সামান্য পরিমাণ যানবাহন চলাচলের সুবিধা পাবেন। এগুলো বলা হলেও, কিছু রাজ্যে তা মান্য করা হয়নি।
রবিবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, যে জায়গাগুলি হট স্পট হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, সেখানে প্রশাসনের তরফ থেকে বেশ কিছু সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের পক্ষে নিশ্চিত হওয়া দরকার যে আসল পরিস্থিতিগুলির যথাযথ মূল্যায়ন করার পরে এই ছাড়টি মঞ্জুর করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্রানুসারে, গত এক সপ্তাহে এই নির্দেশটি বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় থেকে যে নিয়ম অনুসরণ করতে বলা হয়েছিল, তা অনেক রাজ্যেই পালন করা হয়নি। রাজস্থান, ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, তেলঙ্গানা এবং বিহার সহ অনেক রাজ্যই লকডাউনে তাঁদের নিজস্ব আইন প্রণয়ন করেছে। লকডাউন চলাকালীন সমস্ত রাজ্যকে লকডাউন নিয়ম মাথায় রেখে ই-কমার্স সংস্থাগুলির যানবাহনকে ছাড় দিতে বলা হয়েছিল।
এমনকি কিছু রাজ্য থেকে খবর এসেছিল, ই-কমার্স সংস্থাগুলির যানবাহন চব্বিশ ঘন্টা চলতে পারে। তবে বলা হয়েছিল ই-কমার্স সংস্থাগুলি কেবলমাত্র প্রয়োজনীয় পণ্য বাণিজ্য করবে। এই প্রসঙ্গে ১৯ এপ্রিল, অমিত শাহ করোনার মহামারী নিয়ে তাঁর কর্মকর্তাদের সাথে একটি সভা করেছিলেন এবং রাজ্যগুলিকে কিছু প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথা মাথায় রেখে ছাড়ের সময় করোনার যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি দেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
যেসব পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যের বাইরে রয়েছে, তাঁদেরকেও ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। ত্রাণশিবিরে শ্রমিকদের খাদ্য, বাসস্থানের উপর নজর দিতে হবে। চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীদের সুরক্ষার বিষয়েও নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে তাঁদের জন্য সুরক্ষা বাহিনীও মতায়েন করা যেতে পারে।