বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির (CID) বিরুদ্ধে এবার আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিলেন বিজেপির (Bharatiya Janata Party) সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের বাঁচানোর জন্যই যে সিআইডি বর্তমানে একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে, সে বিষয়ে এদিন মত প্রকাশ করেন দিলীপবাবু। যদিও তার পাল্টা দিয়েছে তৃণমূল শিবির। একইসঙ্গে, মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় ভোলবদলের সুর বিজেপি নেতার গলায়। এ মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি।
বঙ্গ রাজনীতিতে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য সর্বদাই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন দিলীপ ঘোষ। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন তিনি। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। আর এবার রাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক মেজাজে ধরা দিলেন বিজেপি সাংসদ।
পুরুলিয়া জেলা সফরে পৌঁছে এদিন একটি চা চক্রে যোগদান করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশাপাশি সিআইডির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। দিলীপবাবু বলেন, “দুর্নীতি এবং অবৈধ সকল বিষয়কে ধামাচাপা দেওয়ার কাজ করে চলেছে সিআইডি। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে ওরা কাজ করছে। তাই অন্য নেতাদের টাইট দিচ্ছে। সিবিআই আর ইডি বর্তমানে একজোট হয়ে দুর্নীতি দমন করতে নেমেছে বলে অপরদিকে সিআইডির মাধ্যমে বাঁচার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওদের মাধ্যমে প্রাণ রক্ষা করার চেষ্টা হয়ে চলেছে।”
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে একাধিক ইস্যুতে সিআইডির তৎপরতা তুঙ্গে। একদিকে সিবিআই এবং ইডির মতো সংস্থাগুলি যখন তাদের তদন্ত অগ্রসর করে নিয়ে চলেছে, আবার অপরদিকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করার পাশাপাশি সম্প্রতি বাগুইআটি জোড়া খুন কাণ্ডেও সমাধান সূত্র খুব দ্রুত বার করে ফেলেছে তারা। যদিও রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার এহেন তৎপরতা আসলে তৃণমূল কংগ্রেসকে বাঁচানোর স্বার্থে করা হয়ে চলেছে বলে এদিন মত প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ। তবে তার পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শান্তনু সেন।
অপরদিকে, মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বাম আমলে যেমন বিরোধীদের আটকানোর জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হতো। ঠিক তেমনভাবে এখনকার রাজ্য সরকারও একই ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। বাম আমলে বিরোধীদের মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছিল আর সেটাতেই হয়তো ছাড়া পেয়েছেন অনুব্রত।” তবে বিজেপি নেতা আচমকা অনুব্রত মণ্ডলের পাশে কেন দাঁড়ালেন, সে বিষয় স্পষ্ট ধারণা মেলেনি।