টাকা নেব না, আমার নাতিকে শিক্ষিত করে চাকরি দিনঃ অফিসারের কাছে আর্তি মৃত শ্রমিকের বাবার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ঔরঙ্গাবাদের (Aurangabad) ট্রেন দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও মানুষের স্মৃতিপটে রয়েছে। লকডাউনের মধ্যে কাজ বন্ধ থাকায় অর্থভাব এবং খাদ্যাভাবে রেল লাইন ধরে বাড়ি ফিরতে গিয়ে, ১৬ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী গোটা ভারতবাসী। এই ঘটনার পর শ্রমিকদের আর রেল লাইন ধরে পায়ে হেঁটে ফিরতে নিষেধ করেছেন দেশে উচ্চস্তরের ব্যক্তিবর্গ।

tarin 1

রবিবার ওই শ্রমিকদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়
প্রশাসনের বড় আধিকারিক এবং শাহদল বিভাগের কমিশনার ডাঃ ভরতভার উপস্থিতিতে ওই নিহত শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করে।

শ্রমিকদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করে সরকার
ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত শ্রমিকদের পরিবারের জন্য ৫ লক্ষ টাকা অনুদানের ব্যবস্থা করা হয়। রবিবার অন্তিম সংস্কার শেষ হওয়ার পর অফিসাররা তাঁদের পরিবারের হাতে সেই টাকা তুলে দেন।

tarin 333

টাকা লাগবে না, এই বাচ্চাটাকে শিক্ষিত করে একটা চাকরি পাইয়ে দিন
শ্রমিকদের পরিবারের লোকেদের হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৫ লক্ষ টাকা দিতে গেলে, মৃত শ্রমিক দীপকের পিতা জানান, ‘স্যার আমরা টাকা দিয়ে কি করব? আমার ছেলে দীপকের শেষ চিহ্ন, তাঁর এই দেড় বছরের ছেলে। আপনারা একে ভালো করে পড়াশুনা শিক্ষিয়ে শিক্ষিত করে তুলুন। যাতে করে সে তাঁর বাবার মতো শ্রমিক না হয়ে যায়’। এই কথা শুনে অফিসাররা বাকরুদ্ধ হয়ে যায়।

২ একর জমি থাকার জন্য আমাদের বিপিএল কার্ড করা হয়নি
মৃত দীপকের পিতা আরও জানান, ২০১৮ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় দীপক। সাংসারিক টানাপোড়েনে কাজের সন্ধানে মহারাষ্ট্রে গিয়েছিল দীপক। এখন কর্মকর্তারা সাহায্য করতে এসেছেন। কিন্তু আমাদের মাত্র ২ একর জমি থাকার জন্য, আমাদের বিপিএল কার্ড করে দেওয়া হয়নি। আমরা রেশন পাইনি। অর্থ উপার্জনের দীপক তাই ভিন্ন রাজ্যে যায় কাজের জন্য।

tarin 222

৩ দিন পরও গ্রামে বিরাজ করছে শোকস্তব্ধ আবহাওয়া
পরিযায়ী শ্রমিকদের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার তিন দিন পরও তাঁদের গ্রামে বিরাজ করছে শোকের ছায়া। অনেকের বাড়িতে উনুন পর্যন্ত ধরানো হয়নি। শ্রমিকদের দেহ তাঁদের গ্রামে পাঠিয়ে, পরিবারের উপস্থিতিতে সৎকার করা হয়েছে।

Avatar
Smita Hari

সম্পর্কিত খবর