বাংলাহান্ট ডেস্ক : মার্কিন সেনেটের স্পিকার (Speaker of US Senate) ন্যান্সী পেলোসীর (Nancy Pelosi) এশিয়া ভ্রমনকে কেন্দ্র করে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে চিন। যেদিন পেলোসী তাইওয়ানে (Taiwan) ছিলেন সেদিন প্রায় যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তাইওয়ানকে ঘিরে। পেলোসী ফিরে গেলের আক্রমণাত্মক মনোভাব এখনও কাটেনি চিনের। তাইওয়ান সীমান্তে যুদ্ধ অভ্যাস করে তাইওয়ানকে হুমকি দেও চিন (China)। এবার তাইওয়ান বিষয়ে ভারতের সাহায্য চাইল বেজিং (Bejing)। এই উদ্দেশ্যে ভারতে রাজদূতও পাঠায় চিন।
দিল্লিতে (Delhi) বেজিং-এর রাজদূত সুন ওয়াইদংগ বলেন, ‘আমরা আশা করি ভারত চিনের ওয়ান চায়না নীতিকে সমর্থন করবে।’ ঘটনা হলো আজ পর্যন্ত দিল্লি চিনের এই ‘ওয়ান চায়না’ নীতিকে সমর্থনের কথা জানায়নি। ওয়াইদংগ আরও বলেন, ‘ওয়ান চায়না নীতি চিনের সঙ্গে ভারত তথা অন্য দেশগুলির সম্পর্ককে আরও মজবুত করে তুলবে।’
চিনের অদ্ভুত নীতিতে বিরক্ত ভারত। একদিকে চিন তাইওয়ান প্রসঙ্গে ভারতের সমর্থন চাইছে, অপর দিকে রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির উপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে ভারতকে বাধা দিচ্ছে এই চিন। সাংবাদিকদের প্রশ্নে ওয়াইদংগ বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে বেজিং একেবারেই রক্ষনাত্মকনীতিতে চলে।’ কিন্তু ঘটনা হলো যত বার রাষ্ট্রসংঘে সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গ ওঠে ততবারই চিন ভেটো ব্যাবহার করে ভারতের পরিকল্পনাকে ভেস্তে দেয়। লাদাখ বিষয়েও সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় চিনা দূতকে। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক, যে সমস্ত সেনার দল অগ্রসর হয়েছিল, তারা ইতিমধ্যেই ফিরে গেছে।
ভারত তাইওয়ান বিষয়ে কোনও এক তরফা সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয়। চিনা দূত তাইওয়ানের সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য সরাসরি দায়ি করেন ন্যান্সী পেলোসীকে। এবং চিনের পদক্ষেপ সঠিক বলেই দাবি করেন ওয়াইদংগ। তিনি আরও বলেন, ‘ আমি আশা রাখি তাইওয়ান বিষয়ে প্রত্যেক দেশ নিরপেক্ষ থাকবে। ওয়ান চায়না নীতি ভারতের সঙ্গে চিনের সম্পর্ক এবং অন্য দেশের সঙ্গে চিনের সম্পর্ককে রাজনৈতিক রূপ দেবে। আমি আশা করি ভারত আবারও ওয়ান চায়ন নীতি সম্পূর্ণ সমর্থন করবে।’ যদিও চিনা রাজদূতের এই পর এখনও পর্যন্ত দিল্লি কোনও সঠিক সিদ্ধান্ত জানায় নি।