বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশে (Bangladesh) আবারও সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থানের উপরে আক্রমণ। বৃহস্পতিবার সকালে ভেঙে দেওয়া হয় রাজধানী ঢাকার খিলখেতের একটি দুর্গামন্দির। স্থানীয় হিন্দু সমাজের মানুষজন মন্দির ভাঙা আটকাতে তীব্র প্রতিবাদে সামিল হয়। অনেকে বুলডোজারের সামনেও শুয়ে পড়ে। কিন্তু তাদের জোর খাটিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইউনূস জমানায় বারংবার এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ ভারত।
বাংলাদেশে (Bangladesh) ফের দুর্গামন্দিরে ভাঙচুর
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই ওই মন্দিরে হামলা চালিয়েছিল একদল লোক। সেদিন তাদের বাধা দেওয়ায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে যায়নি। তবে তারা হুমকি দিয়ে গিয়েছিল, পরদিন বেলা বারোটার মধ্যেই সরিয়ে দিতে হবে মন্দির। তৌহিদী জনতা নামে এক মৌলবাদী সংগঠনও তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়রা আশঙ্কা করেছিলেন তখনই।
অবৈধ দাবি করে ভাঙা হয় মন্দির: এরপরই আসরে নামে বাংলাদেশ (Bangladesh) রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। দাবি করা হয়, ওই দুর্গামন্দির নাকি রেলওয়ের জমির উপরে অবস্থিত। তাই মন্দির সরিয়ে দিতে হবে। নয়তো তা ভাঙা পড়বে। স্থানীয় হিন্দু সমাজের মানুষের প্রতিবাদ, আপত্তি উপেক্ষা করেই বুলডোজার দিয়ে মন্দির গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারত।
আরো পড়ুন : ‘মমতার দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হোক…’, দাবি ঘিরে তোলপাড়
তীব্র নিন্দা ভারতের: বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি যে চরমপন্থীরা দুর্গামন্দির ভেঙে ফেলার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার মন্দিরে নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে একে অবৈধ ভাবে ভূমি ব্যবহারের ঘটনা হিসেবে তুলে ধরে মন্দির ভেঙে দেওয়ার অনুমতি দেয়। মন্দিরটি স্থানান্তরিত হওয়ার আগেই ক্ষতি হয়েছে বিগ্রহের।’ তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) হিন্দু, তাদের সম্পত্তি এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষার দায়িত্ব সেখানকার অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব।
আরো পড়ুন : প্রবীণদের ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’এ বাধা! আয়করের জোড়া চিঠি ৭৬০০০ মানুষকে পাঠানোর ঘোষণা অভিষেকের
জানা গিয়েছে, খিলখেতের মন্দিরটি ৫০ বছরেরও বেশি পুরনো। বাংলাদেশের পূজা উদযাপন পরিষদ এবং মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে মন্দির ধ্বংসের নিন্দা করেছে। এদিকে বাংলাদেশের রেলের দাবি, কুড়িল বিশ্ব রোড থেকে খিলখেত পর্যন্ত এলাকা দখলমুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় হিন্দু সমাজের মানুষদের দাবি, ওই এলাকায় আরো অনেক নির্মাণই অক্ষত রয়েছে। ভাঙা হয়েছে শুধু দুর্গামন্দির। হিন্দু বিদ্বেষ থেকেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে উঠছে অভিযোগ।