বাংলাহান্ট ডেস্ক : পিরিয়ডস বা মাসিক প্রত্যেকটি মেয়ের জীবনের একটি অন্যতম অংশ। এই অবস্থা অনেক সময় বিভিন্ন প্রতিকূলতার সৃষ্টি করে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্রীদের পিরিয়ডস যাতে সমস্যার সৃষ্টি না করে তার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিল শিক্ষা মন্ত্রক। বিভিন্ন স্কুল ও বোর্ডকে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক নির্দেশ দিয়ে বলেছে, স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখতে হবে প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে।
তার সাথে রাখতে হবে পরিষ্কার শৌচালয় বা রেস্ট রুম। এমনকি প্রয়োজন পরলে ছাত্রীদের দিতে হবে ‘রেস্টরুম ব্রেক’। নির্দেশিকায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক উল্লেখ করেছে, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে পিরিয়ডস হতেই পারে ছাত্রীদের। অনেক সময় দেখা যায় অসদুপায় অবলম্বন রোধে পরীক্ষকরা পরীক্ষার্থীদের শৌচালয় যেতে দেন না বারবার।
আরোও পড়ুন : রাজ্যের মহিলাদের জন্য সুখবর! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পর চালু হচ্ছে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার! কত টাকা পাওয়া যাবে?
তবে সেটা করা যাবে না। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যদি হঠাৎ কোনো ছাত্রীর পিরিয়ডস (Periods) শুরু হয়, তাহলে তাকে রেস্ট রুমে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। এছাড়াও স্কুলগুলিকে শিক্ষা মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে সারা বছর ধরে মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন (menstrual hygiene) নিয়ে সচেতনতা প্রচারের।
আরোও পড়ুন : কঠোর সিদ্ধান্ত মেট্রোর, আর চলবে না এই ট্রেন!
শিক্ষা মন্ত্রকের এই নতুন নির্দেশিকা ছাত্রীদের পক্ষে অত্যন্ত ইতিবাচক মানসিকতার পরিচয় দেয় তা নিয়ে কোনও দ্বিধা নেই। তবে অনেকেই বলছেন বারবার শৌচালয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলে নষ্ট হতে পারে সময়। তাই মাসিকের (Menstruation) সময় সেই ছাত্রীকে অতিরিক্ত পরীক্ষার সময় দেওয়া যায় কিনা সেই দিকটিও ভেবে দেখা দরকার।
শিক্ষা মন্ত্রকের এই নির্দেশিকা অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বোর্ডের কাছে আসেনি। তবে বাংলার বোর্ডগুলো জানাচ্ছে সব সময় পরীক্ষকদের সচেতন থাকতে বলা হয় যাতে পরীক্ষার সময় তারা মানবিক ও সংবেদনশীল হন। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, রাজ্যের প্রায় সব স্কুলেই রয়েছে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন।