বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) ভক্তদের হতাশা কাটলো না। অথচ হাতের সামনে ছিল সুবর্ণ সুযোগ। আইএসএল (ISL 2022/23) অভিযান আবারও খারাপ ভাবে শেষ করার পর সুপার কাপের (Super Cup) অন্তত ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছে সমর্থকদের কিছুটা মলম লাগানোর সুযোগ ছিল স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন এবং ইস্টবেঙ্গল সিনিয়র দলের সামনে। কিন্তু সুপার কাপের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচেই হতাশ করল তারা একই রকম ভাবে।
আজও একটাও ম্যাচ না জেতা আইজলের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্সের চিত্রটা বদলালো না। প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল দল। গোল করেছিলেন ধারাবাহিকভাবে ভালো ফুটবল খেলা নাওরেম মহেশ এবং চলতি মরশুমে একাধিকবার সমালোচিত হওয়ার সুমিত পাসি। নকআউট করবে যাওয়ার স্বপ্ন প্রথমার্ধের প্রথম দিকে দেখতেও শুরু করে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল ভক্তরা।
এর আগে নিজেদের গ্রুপে থাকা বাকি আইএসএলের দুটি দল ওড়িশা এবং হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ম্যাচে এগিয়ে থেকেও ড্র করে পয়েন্ট নষ্ট করেছিল ইস্টবেঙ্গল। আজ তাদের সামনে সমীকরণটা কিছুটা সরলই ছিল। আইএসএলের দুই দল যখন মুখোমুখি হবে তাদের ম্যাচের ফলাফল যেন ড্র হয় এবং নিজেদের আইজলকে ৪ গোলে হারাতে হবে। সেই লক্ষ্যে বেশ ভালোভাবেই যাত্রা শুরু করেছিল লাল হলুদ ক্লাব।
কিন্তু কেরালায় আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গলকে যে সমস্যা বার বার ভুগিয়েছে তার ব্যতিক্রম আজও হয়নি। গোল করে লিড নিয়ে সেই লিড না ধরে রাখতে পারার অক্ষমতা ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সকে অসহ্য করে তুলেছে সমর্থকদের কাছে। আজও পিছিয়ে পড়ার পর প্রথমার্ধেই এক গোল শোধ করে আইজল। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক কমলজিতের ভুল ক্লিয়ারেন্স ধরে দূরপাল্লার শটে গোল করে সমতা ফেরান কিমা।
একাধিক ভুল করলেও আর গোল করে ম্যাচ জিততে পারেনি আইজল। ইস্টবেঙ্গলের লজ্জা তাহলে আরও বাড়তো কারণ আইজল চলতি মরশুমে আই লিগে নবম স্থানে অভিযান শেষ করেছিল। এই ম্যাচের সাথে সাথেই ইস্টবেঙ্গল এর সম্ভবত অবসান হয়ে গেল কনস্ট্যানটাইন যুগের। পরের মরশুমে যোগ্য কোচের দায়িত্বে দুর্দান্তভাবে প্রত্যাবর্তন করবে ইস্টবেঙ্গল, এখন এমন স্বপ্নই দেখছেন সমর্থকরা।