বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত দু’মাস ধরে সন্দেশখালি ইস্যুতে (Sandeshkhali Issue) সরগরম রাজ্য। ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। সিআইডি হেফাজতে আছেন তিনি। এর মাঝেই এই মামলায় ফের নতুন করে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানানো হল। কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই আর্জি জানানো হয়েছে।
শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) গ্রেফতার হওয়ার পর সন্দেশখালি মামলার তদন্তভার সিআইডি নিয়েছে। তবে ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদীর দাবি, তদন্তের নামে বারংবার ইডি (ED) অফিসারদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। তবে আসলে অভিযুক্তকে তাঁদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কথায়, অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে রেখে আদতে মামলার তদন্তের এগোতে না দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এদিকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলের কথায়, ইডির কাছে এই ঘটনায় তদন্তের এক্তিয়ার নেই। সেই জন্য দরকার সিবিআই (CBI) তদন্ত।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি ঘটনায় সিবিআই অথবা সিট গঠন করে তদন্তের আর্জি খারিজ করে দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিষয়টি কলকাতা হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণে আছে বলেই আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। এবার ফের উচ্চ আদালতে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হল।
সন্দেশখালি (Sandeshkhali) কাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন ইডির ডেপুটি ডিরেক্টর। সেই হিসেবে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিল সিআইডি। সোমবারই ভবানী ভবনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। তবে ইডি কর্তা সেই ডাকে সাড়া দেননি। বরং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে হাই কোর্ট যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এবার আদালতে গিয়ে পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি ক্ষুণ্ণ করার কথা বললো তারা।
প্রসঙ্গত, ইডি আধিকারিকেরা সন্দেশখালিতে তল্লাশিতে গিয়ে হামলার মুখে পড়েছিলেন। সেই ঘটনায় বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিট গঠনের নির্দেশ দেন। রাজ্যের আধিকারিক এবং সিবিআই মিলে তদন্ত করার কথা বলা হয়। তবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। আগামী ৬ মার্চ সেই মামলায় শুনানি রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ যেন বারুদের পাহাড়! মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগে উদ্ধার প্রচুর বোমা তৈরির মশলা, চাঞ্চল্য এলাকায়
গত সপ্তাহে সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত শাহজাহানের আইনজীবী কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। নিম্ন আদালতের পেন্ডিং জামিনের আর্জিগুলি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শুনুক, এই আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, শাহজাহানের প্রতি তাঁর কোনও প্রকার সমবেদনা নেই। শাহজাহানের আইনজীবীকে তিনি সাফ জানান, আগামী ১০ বছর তাঁকে এই মামলায় ব্যস্ত রাখা হবে। একটি ভালো লিগাল টিম গঠনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ১০ বছর আপনাকে অন্য কাজ করতে হবে না। এই মামলা চালাতেই কেটে যাবে’।