বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদ আর অবশেষে শিবসেনা (Shiv sena) সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে (Sanjay Raut), আটক করল ইডি (ED)। আর্থিক তছরুপ মামলায় দীর্ঘ সময় ধরে জেরা চলার পর অবশেষে সঞ্চয় রাউতকে আটক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অতীতেও একাধিকবার এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ এর মুখে পড়েন শিবসেনা নেতা। বেশ কয়েকবার সমন এড়ালেও এদিন অবশেষে সঞ্জয়ের বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি অফিসাররা এবং এক্ষেত্রে একাধিক বিরোধ সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হলো না শিবসেনা নেতার।
উল্লেখ্য, বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় ইডি দফতরে একবার হাজিরা দিলেও পরবর্তীতে বেশ কয়েক ক্ষেত্রে সমন এড়ান শিবসেনা নেতা। তবে শেষ পর্যন্ত এদিন অ্যাকশনে নামে ইডি। সম্প্রতি, মুম্বইয়ের অন্তর্গত পত্র চউল নামে এক আবাসন প্রকল্পে আর্থিক দুর্নীতির দিকটি প্রথম সামনে উঠে আসে আর এ মামলাতেই নাম জড়ায় সঞ্জয় রাউতের। এক্ষেত্রে বড়সড় আর্থিক দুর্নীতির সন্দেহ প্রকাশ করে এ মাসের ১ তারিখ সর্বপ্রথম সমন পাঠানো হয় শিবসেনা নেতাকে।
ইডি সূত্রে খবর, ১ লা জুলাই ইডি অফিসে হাজিরা দেন সঞ্জয় এবং এর পরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে সব রকম সহায়তা করবেন বলে আশ্বাসও দেন তিনি। তবে পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবের রূপ দেখেনি এবং এই মামলায় পরপর দুবার তলব করা হলেও তা এড়িয়ে যান শিবসেনার এই ‘প্রভাবশালী’ নেতা। কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য তদন্তের মুখোমুখি হতে পারবেন না বলে জানিয়েও দেন তিনি। তবে এরপরেই এদিন শিবসেনা নেতার বাড়িতে পৌঁছে যায় ইডি এবং দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর অবশেষে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক হলেন সঞ্জয় রাউত।
এদিন সকালে সঞ্জয়ের রাউতের বাড়ি পৌঁছে যায় ইডি। সেই সময় একে একে তাঁর বাড়ির বাইরে জড়ো হতে থাকে শিবসেনা কর্মীরা। তবে তাদের কোনো রকম বিরোধ শেষ পর্যন্ত কাজে এলো না। এক্ষেত্রে ইডি হানা মাঝেও দমেননি শিবসেনা নেতা। কোনরকম অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলেই প্রথম থেকে মত প্রকাশ করতে থাকেন তিনি। এদিনও ইডি জেরার মাঝে তিনি একের পর এক টুইট করতে থাকেন। সঞ্জয় লেখেন, “বালাসাহেব ঠাকরের নামে শপথ নিয়ে আমি বলছি যে, কোন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। আমি মরে গেলেও শিবসেনা ছাড়বো না।”
এরপর তিনি আরও একটি টুইট করে বলেন, “মিথ্যে তথ্য, মিথ্যে পদক্ষেপ। যদি মরে যাই, তা সত্ত্বেও আমি আত্মসমর্পণ করব না।” উল্লেখ্য, পত্র চাউল সংক্রান্ত আর্থিক দুর্নীতি মামলায় সঞ্জয় রাউতের স্ত্রী এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ সামনে আসে। এক্ষেত্রে ইডির তরফ থেকে প্রায় ১২ কোটি টাকার কাছাকাছি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত পর্যন্ত করা হয়। পরবর্তীতে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় শিবসেনা নেতাকে আর এদিন অবশেষে সঞ্জয় রাউতের আটক হওয়ার ঘটনা মহারাষ্ট্র রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের সূচনা করবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।