বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাতসকালে ইডির (Enforcement Directorates) ধামাল অ্যাকশন। মন্ত্রী থেকে বিধায়ক, তৃণমূল হেভিওয়েটদের বাড়িতে জোর তল্লাশি। ওদিকে কুয়াশায় ঢাকা সকালে ইডির তল্লাশি অভিযানের খবর পেয়ে দমদমের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিন নম্বর খলিসাকোটা পল্লীতে উত্তর দমদম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সলির সুবোধ চক্রবর্তীর (Councillor Subodh Chakraborty) বাড়িতে পৌঁছে যান দমদম থানার আইসি বঙ্কিম বিশ্বাস।
সূত্রের খবর, আইসি সাহেব নেতার বাড়ির ভেতর ঢুকতে গেলে তাকে বাধা দেয় ইডি। প্রথমে নিজের পরিচয় দিয়ে এগিয়ে গেলেও খবর পেয়েই বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসেন এক ইডি অফিসার। তাকে নিজের পরিচয় দিলেও ইডি সাফ জানিয়ে দেয় ভেতরে প্রবেশের অনুমতি নেই। আইসি হলেও তাকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।
জানা গিয়েছে ইডি অনুমতি না দেওয়ায় তখনই সেখান থেকে চলে যান আইসি। এই বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে বঙ্কিমবাবু বলেন, “এটা আমার এরিয়া।আমার জানার অধিকার রয়েছে ভিতরে কী হচ্ছে না হচ্ছে। আমার এরিয়া বলেই আমি এখানে এসেছিলাম।”
আরও পড়ুন: ‘সব সম্পত্তি শ্বশুর আর…’, পার্থকে নিয়ে বেফাঁস, এজেন্সিকে সমস্ত ‘সত্যি’ জানিয়ে দিলেন জামাই
সূত্রের খবর, এদিন ভোর ৬টার কিছু পর দমদম পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা শাসকদলের কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি। জানা গিয়েছে, নিজের ছেলে ও মেয়েকে বেআইনিভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগেই তার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে ইডি।
রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত প্রোমোটার তথা প্রযোজক অয়ন শীলের সূত্র ধরেই সর্বপ্রথম পুর নিয়োগ দুর্নীতির হদিস মেলে। পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির খোঁজ মিলতেই আলাদা মামলা দায়ের করে একজোটে তদন্তে নামে সিবিআই, ইডি। ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশির সময় সেখানে একটি ফোল্ডার পাওয়া গিয়েছিল। ফোল্ডারে ছিল চাকরিপ্রার্থীদের নামের একটি তালিকা। সেই তালিকা থেকেই সুজিত বসু, তাপস রায়, সুবোধ চক্রবর্তীদের নাম উঠে আসে বলে জানা গিয়েছে।