দুর্নীতি মামলায় ফের অ্যাকশনে ED! বাজেয়াপ্ত কয়েকশ কোটির সম্পত্তি, হইচই বাংলায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় এবার বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) তথা ED। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ED-র তরফে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সহ আরও ২ জনের মোট ১৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাকি ২ জন হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সহযোগী বাকিবুর রহমান ও তৃণমূল নেতা শংকর আঢ্য।

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ইতিমধ্যেই ওই দু’জনকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, জানা গিয়েছে, এই বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির মধ্যে বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংস্থার ৪৮ টি সম্পত্তি রয়েছে। যেগুলির মধ্যে জ্যোতিপ্রিয়ের সল্টলেকের বাড়িসহ তাঁর ঘনিষ্ঠদের নামে আরও বেশ কিছু বেনামি সম্পত্তি এবং কলকাতা ও বেঙ্গালুরুতে রহমানের মালিকানাধীন দু’টি হোটেল সহ বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট সামিল রয়েছে।

jyotipriya mallick health report

এই প্রসঙ্গে ED-র তরফে জানানো হয়েছে যে, “এই মামলায় রাইস মিলের মালিক বাকিবুর রহমান সহ প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং তাঁর সহযোগী শংকর আঢ্য ও বিশ্বজিৎ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাঁরা সকলেই বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।” ED জানিয়েছে যে, এই কেলেঙ্কারিতে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতি হয়েছে।

আরও পড়ুন: সূর্যগ্রহণও হবে ইচ্ছে অনুযায়ী! অসম্ভবকে সম্ভব করে ESA-র স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পথে ISRO

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, বনমন্ত্রী এবং অপ্রচলিত ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রী হওয়ার আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ২০১১ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এদিকে, কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তে দাবি করা হয়েছে যে, মল্লিকের স্ত্রী এবং মেয়ে এই কেলেঙ্কারিতে অর্থ সংগ্রহের সঙ্গে জড়িত ৩ টি সংস্থায় ডিরেক্টর পদে ছিলেন।

আরও পড়ুন: স্মার্টফোন তৈরিতে চিনের চেয়ে এগিয়ে এই ভারতীয় কোম্পানি! সাহায্য করেছে আমেরিকাকেও

সম্পত্তির মূল্য: এদিকে, ED আরও জানিয়েছে, বাজেয়াপ্ত সম্পত্তিগুলির ডকুমেন্টারি মূল্য ৫০.৪৭ কোটি টাকা হলেও সেগুলির বাজার মূল্য ১৫০ কোটি টাকারও বেশি।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর