বাংলাহান্ট ডেস্ক : পেশায় সাইকেল মিস্ত্রি। তাঁরই পেল্লায় তিন তলা বাড়িতে। সম্প্রতি ঝাড়গ্রামে এই বাড়িতে ইডি (Enforcement Directorate) তল্লাশি হতেই চর্চায় জহিরুলের নাম। সোমবার বালি পাচারের বেআইনি টাকার সন্ধানে মোট ২২ টি জায়গায় তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তার মধ্যে অন্যতম শেখ জহিরুল আলির বাড়ি। ঝাড়গ্রামে গোপীবল্লভপুরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে ইডি (Enforcement Directorate)। কে এই জহিরুল?
সাইকেল মিস্ত্রির বাড়িতে ইডি (Enforcement Directorate) তল্লাশি
জানা যাচ্ছে, একসময় সামান্য সাইকেল মিস্ত্রি ছিলেন জহিরুল। তারপর ভিলেজ পুলিশের কাজ ধরেন। কিন্তু সেখান থেকে বালি তোলা এবং সরবরাহের ব্যবসায় নামতেই ভোল বদলে যায় জহিরুলের। তাঁর এই হঠাৎ উন্নতির নেপথ্যে কারণ খুঁজতেই শুরু হয়েছে তদন্ত। রাজ্য পুলিশের করা এফআইআর এর ভিত্তিতে ইসিআইআর দায়ের করে সোমবার মোট ২২ জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় ইডি (Enforcement Directorate)।
২২ জায়গায় ইডি হানা: এই তালিকায় রয়েছে বেহালায় জিডি মাইনিংয়ের অফিস থেকে রিজেন্ট কলোনিতে বিমা এজেন্টের বাড়ি, সল্টলেকে জিডি মাইনিংয়ের অফিস, কল্যাণীতে জিডি মাইনিংয়ের কর্তার বাড়ি, জিডি মাইনিংয়ের চালকের বাড়ি, মেদিনীপুরে বালি ব্যবসায়ীর বাড়ি সহ আরও বেশ কিছু জায়গা। আর এই তালিকাতেই অন্যতম নাম ঝাড়গ্রামের জহিরুল আলি।
আরও পড়ুন : মৌলবাদীদের থোড়াই কেয়ার, পুজোর চারদিন জমিয়ে উদযাপন নুসরতের, ছেলেকেও দিচ্ছেন একই শিক্ষা
কী সন্দেহ তদন্তকারীদের: এদিন প্রথমেই বেহালার জেমস লং সরণিতে জিডি মাইনিং প্রাইভেট লিমিটেডের রেজিস্টার্ড অফিসে এসে পৌঁছায় ইডি। এই সংস্থার বিভিন্ন জায়গায় থাকা খাদানগুলি বৈধ বলে দাবি করা হলেও সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারীদের। তাই এখানেই সবার প্রথমে ইডি (Enforcement Directorate) হানা। যদিও সংস্থার অফিসে বিদ্যুৎ না থাকায় বিকেলে শুরু হয় তল্লাশির কাজ। একই দিনে অন্যান্য জায়গাতেও হয় তল্লাশি।
আরও পড়ুন : মাঝপথে সিরিয়াল ছেড়ে মুম্বই পাড়ি, জলসার নতুন মেগায় ফিরছেন TRP কাঁপানো নায়িকা!
ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, বৈধ বালি খাদান লিজ নিয়ে সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি বালি তুলে বিক্রি করা হত চড়া দামে। বালি পাচার করতে ভুয়ো চালান বানিয়ে তা দিয়ে বৈধ নথি তৈরি করা হত বলে মনে করছে ইডি (Enforcement Directorate)। এভাবেই লুঠ করা হয়েছে সরকারের কোটি কোটি টাকা। এদিন রিজেন্ট কলোনিতে বিমা এজেন্টের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। বালি দুর্নীতির টাকা বিমাতেও কাজে লাগানো হয়েছে কিনা তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এ বিষয়ে কটাক্ষ শানিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘সব টাকা ভাইপোর কাছে পৌঁছাচ্ছে। এসপিরা সব টাকা তোলার দায়িত্বে রয়েছেন আর আইসিরা সব কাজ ছেড়ে এই বালির কাজ করছেন’।